প্রতীকী চিত্র।
ফোনের ‘গ্যালারি’তে থাকা ছবি, রিল মুছে ফেললেও তা গুগ্ল ড্রাইভের জায়গা দখল করে বসে আছে। ফোন থেকে কিছু জিনিস অন্য কাউকে পাঠাতে গেলে বা কোনও জিনিস কেউ পাঠালে, তা দেখার উপায় নেই। সমানে ‘লো স্টোরেজ’ বার্তা পাঠাচ্ছে ডিভাইস। বিশেষজ্ঞেরা বলছেন, ফোন বা ল্যাপটপ থেকে ছবি, ভিডিয়ো মুছে ফেলার পরেও তা গুগ্ল ড্রাইভে ধরা থাকে। শুধু তাই নয়, ড্রাইভে থেকে যায় ইমেলের সঙ্গে আসা ‘অ্যাটাচমেন্ট’ও। যা ড্রাইভের জায়গা নষ্ট করে। এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে কিছু বিষয় মাথা রাখা জরুরি।
১) ফোন বা কম্পিউটারের ড্রাইভ থেকে মুছে ফেলা ফাইল, একেবারে ‘ডিলিট’ করার আগে ৩০ দিনের জন্য তা অস্থায়ী ভাবে ‘ট্র্যাশ’-এ জমা থাকে। জায়গা ফাঁকা করার জন্য নির্দিষ্ট সময় অন্তর এই ট্র্যাশে থাকা ফাইলগুলি নিজের হাতে ‘ডিলিট’ করার অভ্যাস করুন।
২) কাজের জন্য সারা দিনে নিরন্তর মেল করতে হয়। নানা রকমের ‘অ্যাটাচমেন্ট’ সমেত বিস্তর মেল ফেরতও আসে। এই ‘অ্যাটাচমেন্ট’ কিন্তু অনেকটা জায়গা দখল করে বসে থাকে। তাই ড্রাইভ ফাঁকা রাখতে কিছু দিন অন্তর অপ্রয়োজনীয় মেলও ডিলিট করে দিন।
৩) সময়ের অভাবে ইদানীং গুরুত্বপূর্ণ সব মিটিং করতে হয় ‘গুগল মিট’-এ। এই পদ্ধতিতে মিটিংয়ে যোগ দিলে শারীরিক ভাবে উপস্থিত না থেকেও পৃথিবীর যে কোনও প্রান্ত থেকে ভার্চুয়ালি আলোচনায় যোগ দেওয়া যায়। আর সেই গোটা মিটিংয়ের রেকর্ডিং থেকে যায় গুগ্ল ড্রাইভে। ঘণ্টা দুয়েক বা তার বেশি সময় ধরে চলা আলোচনা অনেকটা জায়গা জুড়ে বসে থাকে। তাই সেগুলি পরে আর প্রয়োজন না হলে ডিলিট করে ফেলাই ভাল।
৪) পছন্দের ফোন গ্যালারিতে থাকা ছবি, রিল বা ভিডিয়ো সেখান থেকে মুছে ফেলার পরও তা ‘ব্যাকআপ’ হিসেবে থেকে যেতে পারে গুগ্ল ড্রাইভে। এই ভাবেও কিন্তু প্রতি দিন অনেকটা জায়গা নষ্ট হয়।
৫) বিশেষজ্ঞেরা বলছেন, ইমেলের মাধ্যমে বড় কোনও ফাইল বা ভিডিয়ো পাঠাতে হলে তা আপলোড করার আগে ‘জ়েডআইপি’ বা ‘আরএআর’ ফরম্যাটে পরিবর্তন করে নিন। এই ‘কম্প্রেস্ড’ ফাইল, মূল ফাইলটির চেয়ে তুলনায় কম জায়গা নেয়।