Relationship Tips

স্ত্রী বা স্বামী পরস্পরকে মিথ্যে বলছেন? ৫ উপায়ে ধরে ফেলুন সঙ্গীর মনের কথা

কোনও ব্যক্তির বাচনভঙ্গি, কথা বলার সময়ে কোন দিকে তাকাচ্ছেন কিংবা কথা বললে গলার স্বর বদলে যাচ্ছে কি না, তা দেখেই নাকি বলে দেওয়া যেতে পারে, সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি সত্যি বলছেন না মিথ্যা।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৮ জুলাই ২০২৪ ১৮:৫৫
Share:

সঙ্গী কিছু গোপন করছেন না তো? ছবি: শাটারস্টক।

সম্পর্কে অনেকেই বহু কিছু গোপন রাখেন। কেউ নিজের সঙ্গীকে বলতে চেয়েও পারেন না, কেউ আবার সঙ্গীর চিন্তা বাড়বে বলে অনেক কথাই রেখে দেন নিজের মনে। সেই কথা গোপন রাখতে গিয়ে কেউ কেউ আবার মিথ্যের আশ্রয়ও নেন। অথচ একটু সতর্ক হলেই কিন্তু সঙ্গীর মনের কথা জেনে ফেলতে পারেন। শরীরের অঙ্গভঙ্গি অনেক কিছুই বলে দিতে পারে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি সম্পর্কে। কথা বলার সময় কোনও ব্যক্তি সত্যি বলছেন না মিথ্যা, তা বোঝারও অন্যতম উপায় হতে পারে শরীরের বিভিন্ন অঙ্গভঙ্গি। কোনও ব্যক্তির বাচনভঙ্গি, কথা বলার সময় কোন দিকে তিনি তাকাচ্ছেন, কিংবা কথা বললে তাঁর গলার স্বর বদলে যাচ্ছে কি না, তা দেখেই নাকি বলে দেওয়া যেতে পারে, সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি সত্যি বলছেন, না মিথ্যা।

Advertisement

১. হাতের ভঙ্গিমা: সাধারণত যখন কোনও মানুষ সত্যি কথা বলেন, তখন কথা বলার আগে বা কথা বলার সঙ্গে সঙ্গে হাতের ভঙ্গিমার বদল হয়। কিন্তু মিথ্যে কথা বলার অর্থ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে কোনও কাল্পনিক ঘটনা নির্মাণ করতে হচ্ছে। তাই মস্তিষ্কের স্বাভাবিক অনুসারী ক্রিয়া কিছুটা ব্যাহত হয়। সেই কারণেই দেরি হয় হাতের সঞ্চালনে।

২. দৃষ্টি: অনেক সময় যাঁরা মিথ্যা কথা বলেন, তাঁরা সরাসরি উল্টো দিকের মানুষটির চোখের দিকে তাকাতে অস্বস্তি বোধ করেন। মিথ্যে কথা বলার সময় সরাসরি চোখে চোখ রাখতে সঙ্কোচ বোধ করেন অনেকেই। তাই দৃষ্টির দিকে নজর রাখলেই তিনি মিথ্যে বলছেন কি না, তা ধরা পড়ে যেতে পারে।

Advertisement

৩. শ্বাস-প্রশ্বাসে বদল: মিথ্যে কথা বললে হৃদ্স্পন্দন বেড়ে যায়, তাই ওই সময় মানুষ জোরে জোরে শ্বাস নেন। তাই অপরজনের শ্বাস-প্রশ্বাসের দিকেও নজর রাখলেও তিনি মিথ্যে বলছেন কি না, তা ধরা যায়।

৪. মুখভঙ্গি: কারও কারও মতে, ঠোঁট ভিতরের দিকে ঢুকিয়ে নেওয়া কিংবা ঠোঁট চেপে রাখার মতো বিষয় মিথ্যে কথা বলার লক্ষণ হতে পারে। বার বার ঢোক গেলা ও জিভ মুখের ভিতরে ঢুকিয়ে নেওয়াও মিথ্যা কথা বলার লক্ষণ হতে পারে।

৫. গলার স্বর: কথা বলার সময়ে কণ্ঠস্বরের আকস্মিক পরিবর্তন মিথ্যে কথার ইঙ্গিত হতে পারে। অনেকের মতে, মানসিক চাপ বৃদ্ধি পেলে কিছু কিছু ক্ষেত্রে স্বরযন্ত্রে বদল আসে। তাই মিথ্যে কথা বলার সময়ে যদি কারও মানসিক চাপ তৈরি হয়, তবে কথা বলতে গেলে গলার স্বর ভারী কিংবা পাতলা হয়ে যেতে পারে।

মনে রাখা দরকার, এই সবই তত্ত্বগত কথা। বাস্তবে এই ধরনের লক্ষণ দেখে কোনও ব্যক্তি সত্যি বলছেন না মিথ্যা, তা নিশ্চিত ভাবে বলা খুবই কঠিন। তা ছাড়া প্রতিটি লক্ষণই অন্য অনেক কিছুর ইঙ্গিত হতে পারে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement