সকালে জলখাবার না খেয়েই কাজে বেরিয়ে পড়ছেন? ছবি: সংগৃহীত।
সকালে অফিস বেরোনোর সময়টা প্রচণ্ড ব্যস্ততায় কাটে। তার উপর শীতে ঘুম ভাঙতেও দেরি হয়। ওই স্বল্প সময়ে বাড়ির অন্যান্য কাজ সামলে স্নান-খাওয়া সেরে যাওয়া সত্যিই মুশকিল হয়। ছুটির দিন ছাড়া সকালের খাবার ঠিক করে খাওয়াই হয় না। আর এই কারণেই নানা রকম রোগ শরীরে বাসা বাঁধতে শুরু করে। শুধু তা-ই নয়, ওজন ঝরানোর জন্য যত কসরত করেন, সবটাই জলে চলে যেতে পারে। তেমনটাই বলছেন পুষ্টিবিদেরা। দেহের নিজস্ব ঘড়ি মেনে খাওয়াদাওয়া না করলে শরীর কিন্তু ছেড়ে কথা বলে না। তৎক্ষণাৎ খারাপ প্রভাব বুঝতে না পারলেও তলে তলে রোগ হানা দেয় শরীরে।
সকালের খাবার খাওয়ার অনিয়মে কী কী রোগ বাসা বাঁধতে পারে?
১) সকালের খাবার না খাওয়ার অভ্যাস পরবর্তীকালে বা়ড়তে পারে ডিমেনশিয়ার ঝুঁকি। স্মৃতিশক্তি লোপ, ভাবনা-চিন্তার অসুবিধা, সিদ্ধান্ত নেওয়ার অক্ষমতার মতো একাধিক সমস্যা দেখা দিতে পারে। ডিমেনশিয়ার ঝুঁকি কমাতে সঠিক সময়ে সকালের খাবার খেতে হবে।
২) দিনের শুরুতে কিছু না খেলে শরীর ভিতর থেকে দুর্বল হয়ে পড়ে। হজমেও সমস্যা দেখা দেয়। বিপাকীয় ক্রিয়াকলাপও দুর্বল হয়ে পড়ে। এর ফলে পেটের গোলমাল দেখা দিতে পারে।
৩) সকালে খাবার এড়িয়ে গেলে রক্তে চিনির মাত্রা কমেও যেতে পারে। ফলে রক্তচাপ বেড়ে যায়। উচ্চ রক্তচাপের হাত ধরে জন্ম নেয় মাইগ্রেনের মতো সমস্যা। মাইগ্রেনের সমস্যা থাকলে সকালের খাবার খেতে হবে নিয়ম মেনে।
৪) সকালে কিছু না খেলে বাড়তে পারে ওজন। ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখার প্রথম শর্ত হল সকালে ভারী কোনও খাবার খাওয়া। দীর্ঘ ক্ষণ না খেয়ে থাকার ফলে শরীর উচ্চ ক্যালোরি যুক্ত খাবার দাবি করে। খিদে মেটাতে তখন ফ্যাট ও চিনি জাতীয় খাবার বেছে নিতে হয়। তাতেই ওজন বেড়ে যায়।
৫) সকাল থেকে দীর্ঘ ক্ষণ না খেয়ে থাকার পরে খাবার খেলে রক্তে শর্করার মাত্রা বেড়ে যেতে পারে। সকালে না খাওয়ার অভ্যাসে টাইপ ২ ডায়াবিটিসের ঝুঁকি বাড়ে। সেই ঝুঁকি এড়াতে সকালের খাবার খেতে হবে নিয়ম করে।