সঠিক ভঙ্গিতে দৌড়তে হবে। ছবি: সংগৃহীত।
জিমে গিয়ে লোহালক্কড় টানার বদলে ফিট থাকতে নিয়ম করে দৌড়তে পছন্দ করেন অনেকেই। রোজ দৌড়নোর বহু উপকারিতাও রয়েছে। ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকে, বিভিন্ন রোগবালাইয়ের ঝুঁকিও কমে। কিন্তু খানিকটা দৌড়েই হাঁপিয়ে ওঠেন অনেকে। তখন থেমে যেতে হয়। তাতে বিশেষ কিছু লাভ হয় না। দৌ়ড়নোর ধরন সঠিক না হলে গতিও বাড়ে না, সেই সঙ্গে শারীরিক ধকলও বেশি হয়। তাই সঠিক ভঙ্গিতে দৌড়তে হবে। না হলে অল্পেতেই ক্লান্ত হয়ে পড়বে শরীর।
১) দৌড়নোর সময় পায়ের দিকে তাকাবেন না। এর ফলে দ্রুত হাঁপিয়ে যাবেন। পায়ের দিকে নয়, সামনের দিকে তাকিয়ে দৌড়নোই নিয়ম। সেটাই মেনে চলুন। তা হলে কয়েক পা দৌড়েই হাঁপিয়ে উঠবেন না।
২) মাথা যেন কোনও ভাবেই সামনের দিকে ঝুঁকে না পড়ে। মাথা ঝুঁকিয়ে দৌড়লে ঘাড় এবং পেশিতে চাপ পড়ে। ফলে শরীর ভিতর থেকে ক্লান্ত হয়ে পড়ে। বেশি ক্ষণ দৌড়তেও ইচ্ছা করে না।
৩) দুটো হাত যতটা সম্ভব আলগা রাখুন। দৌড়নোর সময় বার বার হাত মুঠো করবেন না। তাতে হাত এবং কাঁধের পেশিতে চাপ পড়বে। বেশি ক্ষণ দৌড়তে পারবেন না।
৪) দৌড়নোর সময় শরীরের ভঙ্গির দিকে নজর দিন। মাথা কিংবা পিঠ বেঁকে গেলে চলবে না। দৌড়ের সময় অনেকেরই সামনের দিকে শরীর ঝুঁকে পড়ে, সে দিকে সাবধান থাকতে হবে। কারণ এতে ক্লান্ত হয়ে পড়ার ঝুঁকি বেশি।
৫) দৌড়নোর সময়ে অনেকেরই আমাদের লাফানোর প্রবণতা থাকে, যা মূলত শরীরের শক্তি ক্ষয় হয়। যত বেশি মাটি থেকে উঁচুতে লাফাবেন, নামার সময়ে আপনার পায়ের সঙ্গে মাটির আঘাতের মাত্রা তত বেশি বাড়বে।