অল্প বাজেটেই স্বাস্থ্যকর খাবার। ছবি: শাটারস্টক।
স্বাস্থ্যকর খাবার মানেই তার দাম আকাশছোঁয়া, মধ্যবিত্তের ধরাছোঁয়ার বাইরে— এমনটা ভেবে নেন অনেকেই। কিন্তু পুষ্টিবিদদের মতে, এ ধারণা একেবারেই ভুল। শরীরের জন্য উপকারী কিছু খাবার হয়তো সত্যিই তুলনামূলক ভাবে দামি। কিন্তু সব খবার নয়। এমন অনেক খাবার রয়েছে, যেগুলি অত্যন্ত স্বাস্থ্যকর। ওজন ঝরানোর জন্য ডায়েট করলে যে খুব বেশি বাজেটের কথা মাথায় রাখতে হয়, এমন নয়। বুদ্ধি খাটিয়ে পরিকল্পনা করলে স্বল্প বাজেটেও পুষ্টিকর খাবার খাওয়া সম্ভব। জেনে নিন, পকেটের উপরচাপ না বাড়িয়েও কী ভাবে স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়ার অভ্যাস করবেন।
১. চাই সঠিক পরিকল্পনা: ডায়েট করার সময় নিজেদের ইচ্ছা মতো খাবার খেয়ে নিলে চলবে না। চাই পুষ্টিবিদের পরামর্শ। পুষ্টিবিদকে আগে থেকেই বলে রাখুন, যাতে বাজেটের কথা মাথায় রেখেই তিনি আপনার ডায়েট চার্ট তৈরি করেন।
২. মরসুমি শাক-সব্জি, ফল রাখুন ডায়েটে: মরসুমি শাকসব্জি সস্তা, তাজা ও পুষ্টিকর হয়। অনলাইনে মরসুমি ফল, শাকসব্জির উপর প্রায়শই ছাড় দেওয়া হয়। চাইলে অনলাইনে বরাত দিতেই পারেন।
৩. একসঙ্গে অনেকটা কেনাকাটা করুন: রোজের ডায়েটে বাজারে গিয়ে একসঙ্গে অনেকটা ফল-শাকসব্জি কিনলে দাম কম পড়ে। তবে শাকসব্জি, ফল ফ্রিজে যাতে ভাল করে মজুত করা হয়, সে দিকে নজর রাখতে হবে। নইলে পচে যেতে পারে।
ওজন ঝরানোর জন্য ডায়েট করলে যে খুব বেশি বাজেটের কথা মাথায় রাখতে হয়, এমন নয়। ছবি: শাটারস্টক।
৪. নামী-দামি সংস্থার জিনিস নয়: আঞ্চলিক বাজার বা অনলাইন থেকে কেনাকাটা করাই শ্রেয়। নামী-দামি শপিং মল থেকে খাবার জিনিস কিনলে দাম অনেকখানি বেশি পড়ে। আঞ্চলিক বাজারে কোনও দ্রব্যের মুদ্রিত দামের উপরেও ছাড় দেওয়া হয়, মল-এ গিয়ে কেনাকাটা করলে সেই সুযোগ থাকে না।
স্বাস্থ্যকর জলখাবার: ডায়েট করার সময় সবচেয়ে বেশি মুশকিলে পড়তে হয় হালকা খিদে পেলে কী খাবেন, সেই ভেবে। সে ক্ষেত্রে নামী-দামি সংস্থার প্রোটিন বার, আমন্ড থাকে অনেকের পছন্দের তালিকায়। তবে একটা নির্দিষ্ট বাজেটে চলতে হলে মাখানা, ফল, ছোলা, অঙ্কুরিত মুগ ডাল রাখতে পারেন সন্ধ্যার জলখাবারে।