খুদের মুখে হাসি ফোটাতে বাড়িতেই বানিয়ে ফেলুন রেস্তরাঁর মতো চিনা পদ। ছবি: শাটারস্টক।
টেরিটি বাজারের রেস্তরাঁ হোক বা নামী-দামি হোটেল কিংবা পাড়ার মোড়ের ছোট্ট দোকান— ফ্রায়েড রাইস আর চিলি চিকেন পেলে বেশির ভাগ বাঙালিরই আর কিছু লাগে না। আট থেকে আশি, কলকাতা-স্টাইল চাইনিজ় খাবার কমবেশি সকলেরই প্রিয়। তবে রেস্তরাঁর খাবার রোজ রোজ খাওয়া স্বাস্থ্যকর নয়। স্বাদ আর স্বাস্থ্যের কথা ভেবে অনেকেই তাই বাড়িতেই চিনা পদ নিয়ে নানা রকম পরীক্ষা-নিরীক্ষা করেন। তবে রেস্তরাঁর সেই স্বাদ আর আসে কই? অনেকেই বলেন আজিনামোটো দেওয়া হয় বলেই চিনা খাবারে স্বাদ আসে। কথাটি যদিও ভুল নয়, তবে শরীরের ক্ষতি না করেও কিন্তু চিনা খাবার সুস্বাদু করে বানানো যায়। জেনে নিন এমন পাঁচ টোটকা, যা মেনে চললে বাড়িতে তৈরি চিনা খাবারেও আসবে রেস্তরাঁর মতো স্বাদ।
১) চটজলদি বানিয়ে ফেলা যায় চিনা খাবার। ধিমে আঁচে চাইনিজ় খাবার করলে তার স্বাদ ভাল হবে না। এই সব পদ রান্না করার সময়ে কড়াই ভাল করে তাতিয়ে নিতে হবে।
২) চিলি চিকেন হোক বা মাঞ্চুরিয়ান, ফ্রায়েড রাইস হোক বা নুডল্স— বেশির ভাগ চিনা রান্নাতেই সয়া সস্ ব্যবহার করা হয়। এই সস্ প্রচণ্ড অ্যাসিডিক প্রকৃতির হয় ও এতে নুনের মাত্রা ভাল পরিমাণে থাকে। তাই চিনা খাবার তৈরিতে সয়া সস্ ব্যবহার করার সময়ে দু’–চার দানা চিনি দিয়ে দিলে রান্নার স্বাদ কয়েক গুণ বেড়ে যায়।
ধিমে আঁচে বানালে চাইনিজ় খাবার করলে তার স্বাদ ভাল হয় না। ছবি: সংগৃহীত।
৩) চিনা খাবারে রঙিন সব্জি বেশি ব্যবহার করা হয়। চাইনিজ় ক্যাবেজ, পকচয়, রঙিন বেলপেপার, এই সব সব্জি খুব বেশি ভেজে নিলে স্বাদ খারাপ হয়ে যায়। চিনা খাবার বানানোর সময় সব্জিগুলি খুব বেশি ক্ষণ ভাজবেন না।
৪) আপনি চাইলে সাদা তেলে চিনা খাবার বানাতেই পারেন। তবে রেস্তরাঁগুলিতে কিন্তু চিলি ফিশ, মাঞ্চুরিয়ানের গ্রেভি বানানোর সময়ে তিলের তেলের ব্যবহার করা হয়, এতে স্বাদ বেড়ে যায় কয়েক গুণ।
৫) নুডলস সেদ্ধ করার সময়ে বিশেষত রাইস নুডলস তৈরি করার সময়ে বেশ সমস্যা হয় অনেকের। গলে গেলে তা খেতে মোটেও ভাল লাগে না। এ ক্ষেত্রে ফুটন্ত জলে নুন আর সামান্য তেল দিয়ে নুডলস সেদ্ধ করে নিয়ে ঠান্ডা জলে ভাল করে ধুয়ে জল ঝরিয়ে নিন। তবেই খেতে ভাল লাগবে আর একে অপরের গায়ে নুডলসগুলি লেগেও থাকে না।