দাম্পত্যে সুখ ফেরাতে ৫ বদল। ছবি: সংগৃহীত।
অনেকেই বলেন, যে প্রেমে যত ঝগড়া, সে প্রেমে ততই ভাব। ঝগড়ার পর মানভঞ্জনের পালা তো মিষ্টি একটা ব্যাপার। তবে সেই ঝগড়ার পরিমাণ যত ক্ষণ সুন্দর একটা সীমা পর্যন্ত আবদ্ধ থাকে, তত ক্ষণই ভাল। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই অতিরিক্ত রাগ, অশান্তি, ঘন ঘন ঝগড়া সম্পর্কের মধ্যে গুরুতর ছেদ এনে দিতে পারে। লিভ ইন রিলেশন হোক বা সাংসারিক বন্ধন, দীর্ঘ দিন একসঙ্গে থাকতে থাকতে দু’জন মানুষ পরস্পরের ভাল-মন্দ চিনে ফেলেন। ফলে মুগ্ধতা হারাতে থাকে আর সম্পর্ক তার জেল্লা হারায়। তবে হাল ছাড়লে চলবে না, সম্পর্কের বাঁধনকে মজবুত করতে কোন কোন অভ্যাসে বদল আনবেন, রইল হদিস।
১) সময় দিন: কর্মব্যস্ত যুগে প্রত্যেকই নিজস্ব কাজ ও জগৎ নিয়ে ব্যস্ত। দু’জনেই চাকুরিজীবী হলে তো কথাই নেই, ব্যস্ততা আরও বাড়ে। সম্পর্কে একে অপরের জন্য সময় বার করা ভীষণ জরুরি। সঙ্গীর জন্য দিনের একটা সময় বরাদ্দ রাখুন। বাড়ি ফিরে ঘণ্টাখানেক হলেও একান্তে সময় কাটান। মোবাইলে ডুবে না থেকে সঙ্গীর সঙ্গে মনের কথা ভাগ করে নিন। ব্যস্ততা থেকে সময় বার করে একসঙ্গে বেড়াতে যাওয়ার পরিকল্পনা করুন।
২) আলোচনা করুন: মনে কোনও রকম সন্দেহ হলে কিংবা কোনও সমস্যায় পড়লে সঙ্গীর সঙ্গে তা নিয়ে খোলামেলা আলোচনা করা যায়। গোপনীয়তা যত কমবে, ততই সহজ হবে সম্পর্কের রসায়ন। ঝগড়াঝাঁটি মেটাতেও আলোচনার জায়গা প্রশস্ত রাখুন। একে অপরের সঙ্গে ঝামেলা হলে অপর জন কখন আপনার কাছে ক্ষমা চাইবেন, সেই অপেক্ষায় না থেকে আপনি আলোচনা শুরু করুন।
৩) তারিখ মনে রাখা: সঙ্গীর জন্মদিন বা নিজেদের বিয়ের তারিখ, কিংবা জীবনের বিশেষ দিনগুলি মনে রাখার চেষ্টা করুন। বিশেষ দিনগুলিতে অবশ্যই একান্তে সময় কাটান। সঙ্গীকে পছন্দের উপহার দিন। দামি উপহার না দিলেও চলবে, আপনি যে দিনটা মনে রেখে তাঁর জন্য ভেবেছেন, সেটাই তাঁর মনে দাগ কাটবে।
সম্পর্কে একে অপরের জন্য সময় বার করা ভীষণ জরুরি। ছবি: সংগৃহীত।
৪) কাজ অদলবদল: মাঝে মাঝে পরস্পরের কাজের চাপ কমাতে সঙ্গীর কাজ ভাগ করে নিন। এমনিতেই ছেলেদের কাজ, মেয়েদের কাজ বলে সাংসারিক কাজে কোনও প্রভেদ হয় না। সম্পর্কে নতুন মশলা যোগ করতে এ ওর কাজে সাহায্য করুন, কখনও সখনও সে কাজ সেরেও দিন নিজেই। এতে একসঙ্গে সময় কাটানোও হবে।
৫) প্রশংসা করুন: একে অপরের দোষ-ত্রুটি চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিলেও সঙ্গী কিছু ভাল করলে তার প্রশংসা করতে ভুলে যাই আমরা। সম্পর্ক টিকিয়ে রাখতে একে অপরের প্রশংসা করতে ভুলবেন না। এতেও মজবুত হয় সম্পর্কের বন্ধন।