আমাদের নিত্য ব্যবহার্য বেশ কিছু জিনিসকে আমরা যে নামে ডাকি, আদতে সেই জিনিসের নাম সেটা নয়। বরং তার প্রস্তুতকারী সংস্থার নামেই সে পরিচিত। মার্কেটিং ও ব্র্যান্ডিংয়ের জোরে জিনিসটার আসল নাম ভুলে সেই সংস্থার নামেই তাকে আমরা ডেকে চলেছি যুগ যুগ ধরে। দেখুন তো আপনিও এদের এই নামেই ডাকেন না কি! —নিজস্ব চিত্র।
এই পরিচিত জিনিসকে কে না চেনে? দোকানে গিয়েও ‘একটা ব্যান্ড এড দিন’— বলেই এই জিনিস কিনে আনেন সিংহ ভাগ মানুষ। কিন্তু জানেন কি, ক্ষত সারানোর এই বস্তুটির আসল নাম মোটেও ব্যন্ড এড নয়। ব্যান্ডেজ স্ট্রিপ বানিয়ে ব্যান্ড এড কোম্পানি এত নাম করল যে তাদের নামের এই বস্তু পরিচিত হয়ে যায়। ছবি: শাটারস্টক।
দরকারি যে কোনও নথি নকল করতে এর ব্যবহার করে থাকি আমরা। আর সহজেই ‘জেরক্স’ বলি একে। ঠিক বললে, একে বলতে হয় ‘ফোটোকপি’। কিন্তু আমেরিকার জেরক্স কর্পোরেশন এই মেশিন সবচেয়ে আগে বের করে বলে এদের নামেই এই যন্ত্রের প্রচলিত নাম হয়ে যায় জেরক্স। ছবি: শাটারস্টক।
বইপত্র থেকে দরকারি নথি বা জিনিস— জুড়ে দেওয়ার কাজে সিদ্ধহস্ত এই টেপ। কিন্তু ক’জন একে ‘টেপ’ বলেন? বরং এদের প্রস্তুতকারক সংস্থা সেলোটেপের নামেই এরা পরিচিত। ছবি: পিক্সঅ্যাবে।
আট থেকে আশি— এ জিনিস ভালবাসে না এমন মানুষ হাতে গোনা। তবে বেশির ভাগই একে ক্যাডবেরি বলেই ডাকেন। যদিও জিনিসটি আসলে চকোলেট। ক্যাডবেরি একটি সংস্থার নাম যাঁরা এই চকোলেট বানিয়েই নাম করেছেন বিশ্বে। ছবি: পিক্সঅ্যাবে।
ঢাকা-সমেত ফোনকে ফ্লিপ ফোন বলেই ডাকেন? মোটোরোলা কোম্পানি একসময় এই বিশেষ ধরনের ফোন তৈরি করে তাদের নাম রেখেছিল ‘ফ্লিপ ফোন’ তার পর থেকে যে কোনও সংস্থার এমন ফোনকেও আমরা ফ্লিপ ফোন বলেই চিনি। আসলে এগুলো ফোল্ডেড ফোন। ছবি: শাটারস্টক।
জিফি ব্যাগ বলে যাকে চেনেন, সেগুলো আসলে জিফি প্যাকেজিং কোম্পানি তৈরি করেন ১৯৬৪ সালে। ছোট্ট ব্যাগে অনেক কিছু রেখে দেওয়ার পদ্ধতি ছিল সেই ব্যাগে। তার পর থেকে এই ব্যাগ এতই বিখ্যাত হল যে অন্য সংস্তার ছোট ব্যাগকেও জিফি ব্যাগ বলেই ডাকি আমরা। ছবি: পিক্সঅ্যাবে।
এই ধরনের ফ্লাস্ক তরলকে গরম রাখে। তবে দোকানে গিয়ে সাধারণত ‘থার্মোফ্লাস্ক’-ই খুঁজি আমরা। আসলে থার্মো কোম্পানি এমন ফ্লাস্ক তৈরির পর তা এতই বিখ্যাত হয়ে পড়ে যে তাদের এই নামেই ডাকা হয়। ছবি: পিক্সঅ্যাবে।