ফ্রিজ গোছানোর উপরই নির্ভর করে কতটা পরিষ্কার থাকবে তা। ছবি: শাটারস্টক।
ফ্রিজে খাবার ঢোকানো আবার সেখান থেকে খাবার বার করা— প্রতি দিনের এই ঝক্কি অনেক সময়ই বিরক্তি আনে। তার উপর যদি ফ্রিজ পরিষ্কার না থাকে, তা হলে দুর্গন্ধ তো ছড়ায়ই, সঙ্গে ফ্রিজের জায়গার অভাবে খাবারদাবার রাখাও দুষ্কর হয়ে ওঠে।
আপনাকেও কি এই একই সমস্যায় পড়তে হয় মাঝে মাঝেই? ফ্রিজের দরজা খুললেই উপচে পড়ে খাবার? তা হলে জানবেন, ফ্রিজকে পরিষ্কার ও গুছিয়ে রাখার কাজে কোথাও ভুল হচ্ছে। সেটাই এর কারণ।
দেখে নিন, ঠিক কী কী উপায়ে ফ্রিজকে সাজিয়ে গুছিয়ে রাখার পাশাপাশি পরিষ্কার রাখতে পারবেন।
আরও পড়ুন: তেজপাতা দিচ্ছেন না রান্নায়? কী ক্ষতি করছেন জানেন?
পাতলা আবরণ ব্যবহার করুন: বেঁচে যাওয়া দুধ, দই বা নানা রকম ঝোল জাতীয় জিনিস ফ্রিজে থাকলে অনেক সময়ই ফ্রিজের তাকে দাগ ধরে। যা জমে দুর্গন্ধ হয়। এই সমস্যা থেকে বাঁচতে ফ্রিজের তাকের নীচে ব্যবহার করুন পাতলা কোনও কাপড়ের বা ব্লটিং পেপারের আবরণ। কাজ মিটে গেলে হয় কাপড়টি বার করে কেচে নিন, নয়তো ব্লটিং পেপারটি ফেলে দিন।
আলাদা তাক ব্যবহার করুন: সব্জি, ফল আর তরিতরকারির জন্য আলাদা তাক ব্যবহার করুন। বিশেষ করে আলু না রাখার চেষ্টা করুন ফ্রিজে। ফ্রিজের নীচের অংশে বিশেষ বাক্স না থাকলে ফ্রিজে আলু রাখবেন না। আলু সামান্য খারাপ হওয়া শুরু করলেই খুব তাড়াতাড়ি অন্য সব্জিদেরও নষ্ট করে দেয়। চকোলেট, আইসক্রিম, বাটার এ সব ডিপ ফ্রিজে রাখুন। এ সব বাইরে রাখলে জায়গার অভাব ঘটে।
পাতিলেবু: ফ্রিজে রাখুন কয়েক টুকরো পাতিলেবু। ফ্রিজের গন্ধ দূর করতে ও ফ্রিজকে পরিষ্কার রাখতে খুব সাহায্য করে লেবুর অ্যাসিড। এ ছাড়া ব্যবহার করুন ফ্রিজ ফ্রেশনার।
আরও পড়ুন: পার্লারে আর নয়, এই উপায়ে চুলে হাইলাইট করুন বাড়িতেই
রুটিন: ফ্রিজ পরিষ্কার করার রুটিন তৈরি করুন। জিনিস বেশি থাক বা না থাক, নিয়ম মেনে সে দিনই পরিষ্কার করুন ফ্রিজ। এতে কাজ জমে যাবে না, আর নিয়মিত পরিষ্কারে ভাল থাকবে ফ্রিজ।