চিন থেকে ছড়িয়ে পড়া করোনাভাইরাস ত্রাস ছড়িয়েছে বিশ্বে। ছবি: শাটারস্টক।
কোভিড-১৯ নাম অসুখের। করোনা গ্রুপের ‘২০১৯ এনসিওভি’ নামের ভাইরাস থেকেই এই রোগ ছড়িয়ে পড়ছে। কয়েক দশক আগেও এই ভাইরাস এত মারাত্মক ছিল না। কিন্তু জিনগত মিউটেশনের ফলে কোনও কোনও ভাইরাস তার স্বভাব, আকার, প্রকৃতি বদলে ফেলে। ফলে নতুন চেহারার সে সব ভাইরাসের সঙ্গে লড়াই করা কঠিন হয়ে দাঁড়ায়। প্রয়োজনীয় হাতিয়ার মজুতে আগেই এরা প্রাণঘাতী হয়ে ওঠে। করোনাও এই কারণেই এত মারণ আকার নিয়েছে।
করোনা নিয়ে সতর্কতার প্রচার এখন তুঙ্গে। তবে সেই সব সতর্কতার সঙ্গেই জেনে রাখা দরকার এই অসুখ কতটা ভয়ের ও কী ভাবে তা রুখে দেওয়া যাবে।
চিকিৎসকদের মতে, অতিরিক্ত ভয় পাওয়ার কোনও কারণ নেই। ১০০ জনের মধ্যে মোটে ২ জনের এই রোগে মৃত্যু হতে পারে। বাকি ৯৮ জনই কিন্তু শরীরের প্রতিরোধ ক্ষমতা দিয়ে এই অসুখ কাটিয়ে উঠতে পারেন। তবে মেনে চলতে হবে কিছু নিয়ম। কেমন সে সব?
কী বলছেন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক সুমিত সেনগুপ্ত?
আরও পড়ুন: করোনায় আক্রান্ত না কি সাধারণ ফ্লু? কী হয়েছে বুঝব কী ভাবে
করোনায় কতটা ঝুঁকি কলকাতার? রোগের মোকাবিলাই বা করবেন কী ভাবে, জেনে নিন
মেনে চলুন এ সব
• সাবান বা অ্যালকোহল বেসড হ্যান্ড ওয়াশ দিয়ে হাত ধুয়ে নিন।
• প্রকাশ্যে কফ বা থুতু ফেলবেন না।
• সুস্থ মানুষের জন্য মাস্ক লাগবে না, তবে ঘরে কোনও আক্রান্ত মানুষ থাকলে বা খুব ভিড়ভাট্টায় বেরলে মাস্ক ব্যবহার করুন। মাস্ক য়েখানে সেখানে ফেলবেনও না।
• ঘরবাড়ি, অফিস চত্বর একটু বেশিই যত্ন নিয়ে পরিষ্কার রাখুন।
• কেউ জ্বরের সঙ্গে সর্দি-কাশি-শ্বাসকষ্ট, নিম্ন রক্তচাপ, প্রলাপ বকাই মূল উপসর্গ। এই সব লক্ষণ ওষুধ খেয়েও ১০ দিনের বেশি সময় ধরে থাকলে সচেতন হোন।
• যদি কোভিড-১৯-এ আক্রান্ত হয়েও থাকেন, নিয়ম মেনে চললে সারবে। অন্তত ১৪ দিন আলাদা থাকুন। অন্তত সুস্থ না হওয়া অবধি বাড়িতে লোকজনের আসা বন্ধ করুন। বাড়ির অন্যদের মাস্ক ও প্রয়োজনীয় সতর্কতা মেনে চলতে হবে।
• বাড়ির খাবার খেয়ে ও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়বে এমন ডায়েট ও ওষুধপত্রতেই নিয়ন্ত্রণে আনুন অসুখ।