এখন লেন্স অধিক জনপ্রিয় হলেও চশমাকে একেবারে ব্রাত্য করে দেওয়া যায় না কিছুতেই। ছবি: আইস্টক।
চশমা আর লেন্সের মধ্যে লেন্স অধিক জনপ্রিয় হলেও চশমার ব্যবহারে দাঁড়ি টানা যায় না কিন্তু! সারা ক্ষণ লেন্স পরে থাকার নানা অসুবিধা রয়েছে। ভারী চশমা হলে যদিও বা দিনের অনেকটা সময় লেন্সের শরণ নিতে হয়, তবু চশমাকে একেবারে ব্রাত্য করে দেওয়া যায় না কিছুতেই।
চশমা ব্যবহাররে কিছু নিয়মও আছে। যা মানলে চোখ ভাল থাকে, টেকসই হয় চশমাও। মেনে চলুন কয়েকটি সহজ নিয়ম।
কী কী করবেন:
চশমা সব সময় একটি খাপের মধ্যে রাখার চেষ্টা করুন। যখন তখন ব্যাগের মধ্যে কোথায় চশমার বাক্স রেখেছেন তা খুঁজে বের করতে অসুবিধে হলেএকটি ফ্লুরোসেন্ট মার্কার বা টেপের টুকরো লাগিয়ে রাখতে পারেন চশমার বাক্সের উপর। অন্ধকারের মধ্যেও এগুলো জ্বলজ্বল কর।সহজে চোখে পড়ে।
আরও পড়ুন:বিশ্ব ক্যানসার দিবস: প্রতি দিনের অভ্যাসে এ সব পরিবর্তন আনুন, ক্যানসারের সঙ্গে লড়াই সহজ হবে
নিজের লুকের সঙ্গে মানানসই চশমা কিনুন।
চশমা বাছতে বসে সাবধানী হোন। চশমাও কিন্তু লুকেরই অংশ, তাই ঠিক কেমন লাগছে তা নিশ্চিত হয়ে তবেই চশমা কিনুন। রোজ ব্যবহারের চশমা যেন শক্তপোক্ত হয়। অনেকেরই শুধু রিডিং গ্লাসেই কাজ চলে যায়।তেমন হলে চিকিৎসকের সঙ্গে ভাল করে পরামর্শ করে নিন।
প্রতিদিন অন্তত একবার চশমা পরিষ্কার করুন। এটুকু চোখের যত্নের জন্যও খুব প্রয়োজনীয়। হালকা গরম জল ও নরম কোনও সাবান দিয়ে চশমা ধুয়ে নিন। এক পর চশমা মোছার জন্য যে নরম কাপড়টি দোকান থেকে দেওয়া হয়েছে, তা দিয়ে লেন্সের এঅংশ মুছে নিন। কড়া সাবান দিয়ে চশমা ধোবেন না। রুক্ষ কাপড়ে চশমার কাচ মুছবেন না। এতে নষ্ট হয় লেন্স।
বাড়তি কয়েক সেট চশমা রাখুন। অফিসের ব্যাগেও অবশ্যই স্পেয়ার চশমা রাখবেন। কোনও কারণে চশমা ভেঙে গেলে বা হারিয়ে গেলে কাজে আসবে তা।
আরও পড়ুন:সর্দি-কাশি করোনাভাইরাসের প্রধান লক্ষণ, ঋতু পরিবর্তনের সময় এ সব ঘরোয়া উপায়ে ঠেকান অসুখ
কী কী নিষেধ?
স্টাইলের কারণে অনেকেই চশমা খুলে মাথার উপর রাখেন। এমনটা কয়েক বার করলেই চশমা আলগা হতে শুরু করবে, চুলে জমে থাকা তেল, শ্যাম্পু চশমার কাচের গায়ে জমে লেন্সকে ঝাপসা করে দেবে এক সময়।
চশমা খুলে যেখানে সেখানে ফেলে রাখবেন না।দুর্ঘনা এড়াতে এটা মেনে চলাই ভাল।
সানগ্লাসেও অবশ্যই পাওয়ার নিন। অনেকেই দৃষ্টিশক্তির খুব অসুবিধা না থাকলে সানগ্লাসে আলাদা করে পাওয়ার করান না। এমন হলে কিন্তু চোখেরই ক্ষতি।
চশমা পরেও কম আলোয় বা গতিশীল গাড়ির মধ্যে বই বা ই-বুক পড়বেন না।