নিয়মনিষ্ঠ জীবনযাপনই এড়াতে পারে ফ্যাটি লিভার। ছবি: শাটারস্টক।
ওবেসিটির হাত ধরে যে সব সমস্যা আমাদের ঘাড়ে শ্বাস ফেলে, তার মধ্যে অন্যতম ফ্যাটি লিভার। খাবার থেকে পাওয়া ফ্যাট লিভারে জমা হতে হতে এই সমস্যা আরও বড় আকার নেয়। তাই ফ্যাটি লিভারে আক্রান্ত হলে খাওয়াদাওয়া সংক্রান্ত নানা সতর্কতা অবলম্বন করার পরামর্শ দেন চিকিত্সকরা।
গ্যাস্ট্রোএন্টেরোলজিস্ট ভাস্করবিকাশ পালের কথায়, ''আমাদের লিভার সাধারণত পাঁচ থেকে ছয় শতাংশ চর্বি শোষণ করতে পারে। এর চেয়ে বেশি চর্বি জমা হলে তা বিপজ্জনক। সময় মতো চিকিত্সা না করালে এই অসুখের হাত ধরে সিরোসিস অব লিভারও হানা দিতে পারে।''
ডায়াবিটিস, থাইরয়েড ইত্যাদি হরমোনজনিত নানা অসুখেও ফ্যাটি লিভারের প্রবণতা বাড়ে। প্রথম থেকে সাবধান না হলে এই অসুখের জেরে লিভারের বড়সড় ক্ষতি হতে পারে। তাই আগাম সতর্ক হোন। জেনে নিন কী কী উপসর্গ দেখলেই ফ্যাটি লিভার নিয়ে সচেতন হবেন।
আরও পড়ুন: কেবল ধূমপান নয়, হঠাৎ হার্ট অ্যাটাক ঠেকাতে এই সব খাবারেও ‘না’ বলুন
অল্প পরিশ্রমেই ক্লান্তি এলে সচেতন হোন। ছবি: শাটারস্টক।
খারাপ কোলেস্টেরল বেড়ে গেলে অনেক সময় তার হাত ধরেই ফ্যাটি লিভার হানা দেয়। খারাপ কোলেস্টেরল বা এলডিএল-এর মাত্রা বাড়তে থাকে তাহলে অবশ্যই পরীক্ষা করিয়ে নিন ফ্যাটি লিভার হয়েছে কিনা৷ চেহারায় মেদ জমছে, আর তার সঙ্গে ঘন ঘন ক্লান্ত হয়ে পড়ছেন? সামান্য পরিশ্রমেই যদি অতিরিক্ত ক্লান্তি আসে তবে সতর্ক হোন। ভুঁড়ি বাড়তে শুরু করলেই সচেতন হোন। যে কোনও বয়সেই ভুঁড়ি বাড়লে সচেতন হোন। ভুঁড়ি বাড়ার অন্যতম কারণ কিন্তু ফ্যাটি লিভারও। তাই এমন হলে আগেই ফ্যাটি লিভারের একটা পরীক্ষা করিয়ে নিন।
আরও পড়ুন: ক্যানসার ঠেকাতে আজই খাওয়ার পাতে যোগ করুন এ সব
ফ্যাটি লিভারের কারণে শরীর থেকে টক্সিন ভাল করে বেরতে পারে না। তাই নজর রাখুন প্রস্রাবের রং ও গন্ধের দিকে। শরীরের প্রয়োজন অনুযায়ী জল খাওয়ার পরেও একটানা প্রস্রাবের রং হলুদ হতে থাকলে ও অতিরিক্ত দুর্গন্ধ থাকলে ফ্যাটি লিভারের পরীক্ষা করান। ওজন বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে হঠাত্ খিদে বেড়ে গেলে ও মিষ্টি জাতীয় খাবারের প্রতি আসক্তি বাড়লে ফ্যাটি লিভারের সমস্যা হতে পারে। হঠাৎ উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা হলে সতর্ক থাকুন।