colon cancer

এই সব উপসর্গ দেখা দিলে সাবধান হোন, কোলন ক্যানসার বাসা বাঁধছে না তো?

কিছু উপসর্গ জানা থাকলে রোগের শুরুতেই চিকিৎসা করানো যায় ও সেরে ওঠার সম্ভাবনা বাড়ে। দেখে নিন, কোলন ক্যানসারের সাধারণ উপসর্গগুলো।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ১১ ডিসেম্বর ২০১৮ ১৪:৪০
Share:

যে সব ক্যানসারের প্রকোপ আমাদের দেশে বেশি, তার মধ্যে কোলন ক্যানসার অন্যতম। ছবি: শাটারস্টক।

কর্মব্যস্ত জীবনে শরীরের ভাল করে যত্ন নেওয়ার পরিসর সকলেরই কম। তার উপর অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাপন, ভুল খাদ্যাভ্যাস যোগ হয়ে আমাদের শরীরে বাসা বাঁধে নানা মারণ অসুখ। যেমন, কোলন ক্যানসার। যে সব ক্যানসারের প্রকোপ আমাদের দেশে বেশি, তার মধ্যে কোলন ক্যানসার অন্যতম।

Advertisement

বৃহদান্ত্রের কোষগুলির বৃদ্ধি অস্বাভাবিক হারে হলে এই অসুখের ছায়া নেমে আসে শরীরে। অন্ত্রে দীর্ঘস্থায়ী কোনও মাংসল অংশের বৃদ্ধি এই রোগের অন্যতম লক্ষণ। ‘‘অনিয়ন্ত্রিত মদ্যপান, ধূমপান, অস্বাস্থ্যকর খাবার ইত্যাদি কারণে কোলন ক্যানসার শরীরে বাসা বাঁধে। ডায়াবিটিস থাকা সত্ত্বেও সেই রোগের ঠিকমতো চিকিৎসা না করানোও এই সব অসুখকে আরও উস্কে দেয়,’’ জানালেন ক্যানসার বিশেষজ্ঞ সুকুমার সরকার।

সাধারণত, পঞ্চাশোর্ধ ব্যক্তিদের মধ্যে কোলন ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা বেশি থাকলেও ইদানীং এই প্রবণতা বদলাচ্ছে। কমবয়সীদের জীবনেও এই অসুখ থাবা বসাচ্ছে। তবে কিছু উপসর্গ জানা থাকলে রোগের শুরুতেই চিকিৎসা করানো যায় ও সেরে ওঠার সম্ভাবনা বাড়ে। দেখে নিন, কোলন ক্যানসারের সাধারণ উপসর্গগুলো।

Advertisement

আরও পড়ুন: মূত্রের এ সব লক্ষণ দেখলেই সাবধান হোন, বড় কোনও অসুখ নয় তো!

ধূমপান কোলন ক্যানসারের অন্যতম কারণ। ছবি: শাটারস্টক।

কোলন ক্যান্সারের লক্ষণ

দীর্ঘস্থায়ী কোষ্ঠকাঠিন্য অথবা দীর্ঘ দিনের ডায়ারিয়া এই দুটির যে কোনও একটি হলে সচেতন হোন। এই ক্যানসারের আক্রমণে তীব্র পেটেব্যথা হয়। সঙ্গে হঠাৎ রক্তাল্পতা হানা দিতে পারে। আকস্মিক ওজন কমে যেতে থাকলেও সতর্ক হোন। কোলন ক্যানসারে এমন উপসর্গ দেখা দেয়। মলত্যাগের সময় লক্ষ রাখুন, মলের সঙ্গে রক্ত বেরলে তা অবহেলা করবেন না। যদিও মলের সঙ্গে নানা কারণেই রক্ত বেরতে পারে, কিন্তু সবরকম সাবধানতা নেওয়ার পরেও রক্ত বেরনো বন্ধ না হলে আর দেরি করবেন না। অনেক সময় এই সব উপসর্গের সঙ্গে গা বমি ভাব যোগ হয়।

আরও পড়ুন: রক্তের ক্যানসার মানেই ভয় নয়, বার্তা দশ ক্যানসার-জয়ীর

এড়াব কী ভাবে?

চিকিৎসকদের মতে, স্বাস্থ্যকর খাবার, নিয়মিত শরীরচর্চা, মদ্যপান ও ধূমপানের অভ্যাস ত্যাগ, রেড মিট খাওয়ার উপর নিয়ন্ত্রণ, ঠিক সময় অন্যান্য ক্রনিক অসুখের চিকিৎসা, এ সব মূল শারীরিক নিয়মনীতি মেনে চললেই এই অসুখের সম্ভাবনা কমিয়ে আনা যায় অনেকটা।

ইতিহাসের পাতায় আজকের তারিখ, দেখতে ক্লিক করুন — ফিরে দেখা এই দিন

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement