পেশীর টান হানা দিতে পারে যখন তখন। ছবি: আইস্টক।
ঘুমের মধ্যে বা হঠাৎ হাঁটতে গিয়ে পায়ের পেশীতে টান, কখনও বা আড়মোড়া ভাঙতে গিয়ে হঠাৎই পেশী শক্ত হয়ে গিয়ে টান ধরা। এই সমস্যার মুখোমুখি হননি, এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া দুষ্কর। পেশীর টানের এই যন্ত্রণা বেশির ভাগের ক্ষেত্রেই খুব কম সময়ের জন্য হয়। কিন্তু পেশীতে মাসাজ বা বরফ সেঁক দেওয়ার পর তা কমলেও এই ব্যথা র প্রভাব থেকে যায় প্রায় গোটা দিন।
চিকিৎসকদের মতে, শরীরে ল্যাকটিক অ্যাসিড জমে যাওয়া, কখনও টোকোফেরল, ভিটামিন ডি, ভিটামিন ই, ভিটামিন এ-র অভাব, পটাশিয়ামের স্বল্পতা এই মাসল ক্র্যাম্প বা পেশীর টানের কারণ। তবে শিশুদের ক্ষেত্রে বেড়ে ওঠার সময়ও এমন লক্ষণ দেখা যায়। কোনও কোনও শিশুক হাড়ের বৃদ্ধির সঙ্গে পেশীর বৃদ্ধি সমতা বজায় রাখতে পারে না। তখনই পেশীতে টান ধরে।
এমন পেশীর টানের প্রবণতা তুলনামূলক ভাবে শীতে বাড়ে। তবে কিছু বিষয় মাথায় রাখলে তা এড়িয়ে চলাও যায়। জেনে নিন সে সব।
আরও পড়ুন: ঘন ঘন সেলফি তোলেন? তা হলে আজই সাবধান হোন
পেশীর টানের অন্যতম কারণ শরীরে টক্সিন, ল্যাকটিক অ্যাসি়ড ইত্যাদি জমে যাওয়া। তাই শরীরচর্চা বন্ধ করবেন না। প্রথম প্রথম শরীরচর্চা শুরু করার কারণে পেশীর খাটনি বেশি হয়। তাই পেশীতে টান ধরতে পারে। সে ক্ষেত্রে টানের ব্যথা কমলে শরীরচর্চায় ফিরুন। তবে ব্যায়াম বা শরীরচর্চা বন্ধ করে দেবেন না। ডায়েটে রাখুন কলা, আমন্ড, দুগ্ধজাত দ্রব্য, গাজর, বিনস ইত্যাদি। ভিটামিন এ, ডি এবং ই, পটাশিয়াম সমৃদ্ধ খাবার পেশীর টান কমায়।
আরও পড়ুন: যে কোনও হ্যান্ড ওয়াশ কিনে নেন? বড় সমস্যায় পড়তে পারেন কিন্তু!
পেশীকে স্বাভাবিক অবস্থায় আনতে বরফ সেঁক দিন। ছবি: শাটারস্টক।
পেশীর টান ধরলে আক্রান্ত জায়গায় বরফ সেঁক দিন। দ্রুত মাসাজ করে পেশীকে শিথিল করে তুলুন। শিশুদের ঘন ঘন পেশীতে টান ধরলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
(ইতিহাসের পাতায় আজকের তারিখ, দেখতে ক্লিক করুন — ফিরে দেখা এই দিন।)