black rice

ক্যানসার থেকে ডায়াবিটিস, রোগ নিয়ন্ত্রণে পাতে রাখুন এই জাদু চাল!

অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট সমৃদ্ধ এই চাল কেবল পুষ্টিতেই ভরপুর তা-ই নয়, রোগ প্রতিরোধেও এর ভূমিকা অনেকটাই। আর কী কী গুণ রয়েছে এই চালের?

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

কলকাতা শেষ আপডেট: ২১ মার্চ ২০১৯ ১২:৪২
Share:

কালো চালেই বাজিমাত, ডায়াটে রাখার পরামর্শ চিকিৎসকদের। ছবি: শাটারস্টক।

আধুনিক জীবনযাত্রা, নানা ব্যস্ততা, সঙ্গে খাদ্যাভ্যাসের অনিয়ম। এ সবের জন্যই নানা রকম অসুখবিসুখের শিকার হই আমরা। স্বাস্থ্য সচেতনতা এব‌ং ওজন নিয়ন্ত্রণের এই যুগে তাই এমন কিছু খাবারের সন্ধানে আমরা থাকি, যা কেবল পুষ্টিগুণই বাড়ায় না, নানা অসুখের সঙ্গে লড়তেও সাহায্য করে।

Advertisement

যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে ক্রমশ বাড়তে থাকা ওবেসিটি ও ডায়াবিটিসকে কব্জা করতে ভাত থেকে দূরে সরে যাওয়ার প্রবণতা বাড়ছে বিশ্ব জুড়েই। তবে এশীয় মহাদেশে ভাতের প্রতি নির্ভরতা বেশি থাকায়, সম্পূর্ণ অবহেলাও তাকে করা যায় না। অতিরিক্ত কার্বোহাইড্রেট ও ভাত থেকে পাওয়া গ্লাইকোজেন গলতে সময় নেওয়ায় শরীরে মেদের ভার বাড়ে। তাই ভাতকে বাতিলের খাতায় ফেলছেন অনেকে।

সাদা ধবধবে চাল খেতে ভাল, কিন্তু কোনও পুষ্টিগুণ নেই। ও দিকে ঢেঁকি ছাঁটা চালে পুষ্টিগুণ থাকলেও তা মুখে রোচে না। তবে সম্প্রতি এক প্রকারের চাল নিয়ে বিজ্ঞানী ও পুষ্টিবিদ উভয়েই বেশ আশাবাদী। অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট সমৃদ্ধ এই চাল কেবল পুষ্টিতেই ভরপুর তা-ই নয়, রোগ প্রতিরোধেও এর ভূমিকা অনেকটাই। কালো চালের এমন প্রয়োজনীয় পুষ্চিগুণ দেখে রাজ্য সরগকারও এই চালের বিক্রি বাড়াতে তৎপর হয়েছে।

Advertisement

আরও পড়ুন: রং খেলার সময় চুলের এ সব যত্ন নিচ্ছেন তো? নইলে চুল পাতলা হয়ে টাক পড়বে

দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯

কালো চালেই আস্থা চিকিৎসকদের, বাড়ছে চাহিদাও। ছবি: শাটারস্টক।

পুষ্টিবিদ সুমেধা সিংহের মতে, “হার্ট ও যকৃতকে সুস্থ রাখা, মানসিক চাপ কমানো, ডায়াবিটিসের সঙ্গে লড়াই, এমনকি ক্যানসারের সময় শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতেও এই কালো চালে ভরসা করা যায়। কালো চালের এমন উপকারের কথা মাথায় রেখে দেশ-বিদেশে নানা গবেষণাও চলছে তাকে নিয়ে। এতে থাকা ফ্ল্যাভোনয়েড ফাইটোনিউট্রিয়েন্ট রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। মস্তিষ্কের কার্য ক্ষমতা বাড়ায়।”

মেডিসিন বিশেষজ্ঞ গৌতম গুপ্তের মতে, “অন্যান্য চালের চেয়ে কালো চালে ফাইবার বেশি থাকায় তা অল্পেই পেট ভরায়। এ ছাড়া এর অ্যান্থোসায়ানিন ফ্রি র‌্যাডিক্যালের বৃদ্ধি রুখে দেয়। গ্লুটেনমুক্ত হওয়ায় তা হজম সংক্রান্ত সমস্যাকেও নিয়ন্ত্রণে রাখে। সাদা চালের চেয়ে কালো চালের ক্যালোরিও অনেক কম। তাই ওজন নিয়ন্ত্রমে রাখতেও ওস্তাদ।’’

তবে এ চাল রান্না হতে একটু সময় লাগে, তাই রান্না করার আট-দশ ঘণ্টা আগে থেকে তা ভিজিয়ে রাখুন। রান্না হতে সময় লাগে ৩০-৪০ মিনিট। ফ্যান গালিয়ে খেতে চাইলে যতটা চাল, তার দ্বিগুণেরও বেশি জল রাখুন। প্রতি দিনের ডায়েটে উচ্চ ফাইবার সমৃদ্ধ এই চাল যোগ করলে সুস্থতার পথেই হাঁটবেন।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement