নিয়ম না মেনে অ্যান্টিবায়োটিক খাওয়ায় রাশ টানুন। ছবি: শাটারস্টক।
সারা বছর নানা কারণে অ্যান্টিবায়োটিক খাওয়ার অভ্যাস আমাদের রয়েছে। আবহাওয়ার পরিবর্তনের কারণে সর্দি-কাশির আক্রমণ হোক বা ব্যাকটিরিয়াঘটিত জ্বর, সবেতেই আমরা শরণ নিই অ্যান্টিবোয়োটিকের। দিনের পর দিন এই ধরনের ওষুধ খাওয়ার ভাল-মন্দ নিয়ে গোটা বিশ্ব জুড়েই গবেষণা চলছে।
চিকিৎসকদের মধ্যেও এই বিষয়ে দু’টি স্পষ্ট বিভাজন রয়েছে। যেমন—কিছু সাবধানতা মেনে অ্যান্টিবায়োটিক খেলে তা শরীরের ক্ষতি করে না, বরং নিয়ম না মেনে বা মাঝপথে বন্ধ করে দিলে অ্যান্টিবোয়োটিকের নেতিবাচক প্রভাব শরীরে ফেলে বলে মত জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ সুবর্ণ গোস্বামীর।
আবার যে কোনও অসুখেই কথায় কথায় অ্যান্টিবায়োটিক বাতলানোকে মোটেও ভাল চোখে দেখেন না মেডিসিন বিশেষজ্ঞ গৌতম বরাট। তাঁর মতে, দিনের পর দিন একটানা অ্যান্টিবোয়োটিক খেতে খেতে শরীরের নিজস্ব প্রতিরোধ ক্ষমতা চলে যায়। একান্ত প্রয়োজন না হলে তাই অ্যান্টিবোয়োটিক না খাওয়াই দস্তুর। খেলেও খান সাবধানতা মেনে।
আরও পড়ুন: শুধু কাঁদার জন্য ‘সুদর্শন’ পুরুষকে টাকা দিয়ে ডেকে আনছেন জাপানি মেয়েরা!
তবে দু’জনেই একটি বিষয়ে সহমত যে, অ্যান্টিবোয়োটিক একান্ত খেতেই হলে কিছু জরুরি বিষয় মেনে চলতে হয়। তবেই শরীর ক্লান্ত হওয়া, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যাওয়া ও বড়সড় অসুখ ডেকে আনা থেকে দূরে থাকা যাবে। আসলে এই ওষুধ ব্যবহার করার সময় আমরা প্রায় কোনও সতর্কতাই মানি না। জানেন কি, কোন কোন নিয়ম মেনে অ্যান্টিবায়োটিক নেওয়া উচিত?
অ্যান্টিবায়োটিক খেলে নিয়ম করে দু’-তিন লিটার জল খান।
ইচ্ছামতো অ্যান্টিবায়োটিক খান? সাধারণত, আগে কোনও অসুখ হয়ে থাকলে পরের বার সেই অসুখ ফের হলে আমরা চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ না করে জানা অ্যান্টিবোয়োটিক খেয়ে নিই। সুবর্ণ বাবুর মতে, এমনটা করবেন না। টুকটাক পেটের অসুখ বা সর্দিকাশিতে তা চললেও, একটু বড় আকারের কিছু হলে একেবারেই নিজে সিদ্ধান্ত নেবেন না। শরীরের অভ্যন্তরীণ অবস্থা ও অসুখের মাত্রা না বুঝে অ্যান্টিবোয়োটিক খাওয়া উচিত নয়। অ্যান্টিবায়োটিক খাওয়ার সময় নিয়ম করে দু’-তিন লিটার জল খান। অনেকেই জল প্রচুর খেতে পারেন না। সে ক্ষেত্রে ফলের রস, ডালজাতীয় খাবার খান।
আরও পড়ুন: ঘাড় গুঁজে মোবাইলে সারা ক্ষণ? কী বিপদ ডেকে আনছেন জানেন?
অ্যান্টিবোয়োটিক খেলে চিকিৎসকের পরামর্শ মতো সঙ্গে অ্যান্টাসিড ও ভিটামিন খান। অ্যান্টিবায়োটিক খেলে হজম ক্ষমতা কিছুটা কমে। তাই সহজপাচ্য খাবার খান। তেলমশলা জাতীয় খাবার, ফাস্ট ফুড একেবারেই নয়। বরং এ সব এড়িয়ে হজমে সহায়ক খাবার খান।