পুষ্টিগুণে ভরপুর এই খাবার রাখুন ডায়েটে। ছবি: শাটারস্টক।
ভাত বাদ দিন, দরকারে কান ব্রাউন রাইস। এমন কথা আজকাল পুষ্টিবিদ থেকে চিকিৎসক অনেকের মুখেই এমন কথা আকছার শোনা যায়। ব্রাউন রাইসের নানা স্বাস্থ্যগুণের কারণেই নাকি এমন বিধান।
কেবল রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোই নয়, শরীরের পুষ্টির চাহিদা মেটাতেও এই ধরনের ভাত চিকিৎসকরা রাখতে বলেন ডায়েটে।
গুণাগুণ জানলে আজ থেকে নিয়ম করে আপনিও এই খাবার যোগ করবেন খাদ্যতালিকায়। পুষ্টিবিদ সুমেধা সিংহের মতে, ‘‘এই ধরনের চালে শরীরের যে সব উপকার হয়, তা বুঝেই আজকাল এমন চাল খাওয়ার কথা বলা হয়। ফাইবার সমৃদ্ধ এই চাল সাধারণ চালের চেয়ে অনেক গুণ বেশি উপকারী।’’ যেমন:
আরও পড়ুন: মেনে চলুন এ সব, সম্পর্কে অশান্তি আর একঘেয়েমি পালাবে!
এর ফাইবার মেদ ধরাতে সক্ষম। ফাইবার বেশি থাকায় এটি পেট দীর্ঘ ক্ষণ ভরা রাখে। ফলে বার বার খিদের প্রবণতা কমে। হৃদরোগের সমস্যা কাটাতেও এর জুড়ি নেই। কার্ডিওভাস্কুলারের শিকার হলে তাই ডায়েটে ব্রাউন রাইস রাখুন অবশ্যই। এতে প্রচুর অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট থাকায় হৃদরোগীদের অন্যতম পথ্য এটি। এই ধরনের খাবার শরীরে খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমিয়ে ভাল কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়ায়। উচ্চ ঘনত্বযুক্ত লাইপোপ্রোটিনের মাত্রা বাড়ানোর ফলে রক্তেও কোলেস্টেরলের ভারসাম্য রক্ষা পায়। ডায়াবিটিস, থাইরয়েড ইত্যাদি হরমোনজনিত অসুখে এই ধরনের ভাত খাওয়া প্রয়োজন। এর ফাইবার ওজন নিয়ন্ত্রণে কো রাখেই, সঙ্গে রক্তে শর্করার মাত্রা কমিয়ে হরমোনের কার্যকারিতাকেও নিয়ন্ত্রণ করে।
আরও পড়ুন: কালো রং বা হেনা ছাড়ুন, ঘরোয়া উপায়ে চুল কালো করে ফেলুন এ সব উপায়ে
ফাইবারের কারণে কোষ্ঠকাঠিন্য দূরে রাখে ব্রাউন রাইস। এতে ম্যাগনেশিয়ামের পরিমাণ অত্যন্ত বেশি থাকায় তা হাড়ের বিশেষ যত্ন নেয়। হাড়ের ঘনত্ব বাড়ানো ম্যাগনেশিয়ামের অন্যতম কাজ। তাই রিউম্যাটয়েড আর্থ্রাইটিসের ক্ষেত্রে এই খাবার খুবই উপযোগী। এ ছাড়াও ম্যাঙ্গানিজ, সেলেনিয়াম ও আরও কিছু প্রয়োজনীয় খনিজ থাকায় এই খাবার রোগ প্রতিরোধেও খুবই কার্যকর।