মশাদমনে আস্থা রাখুন ঘরোয়া জিনিসে। ছবি: শাটারস্টক।
সারা বছরই কম-বেশি মশার উপদ্রব সামলাতে হয় আমাদের। আবহাওয়ার পরিবর্তনের সময়গুলোয় এই সমস্যা আরও বাড়ে। ডেঙ্গির প্রাদুর্ভাবও এই সময় বাড়তে থাকে। প্রতি বছর প্রচুর মানুষের মৃত্যু ঘটে ডেঙ্গিতে। তাই মশার হাত থেকে নিজেকে ও বাড়ির সদস্যদের দূরে রাখা খুব প্রয়োজনীয়।
বাজার চলতি নানা মশাপ্রতিরোধক ধূপ, তেল বা ম্যাটের ধোঁয়া থেকেও শ্বাসকষ্ট হয়। বিশেষ করে বাড়িতে শিশু বা বয়স্কদের হৃদযন্ত্রে সবচেয়ে বেশি ক্ষতি করে এই ধোঁয়া। মশানিরোধক ক্রিমও শিশুদের শরীরে লাগান অনেকে, কিন্তু তা থেকেও নানা চর্মরোগ হতে পারে।
তাই ক্ষতিকর রাসায়নিকে ভরা সে সব জিনিস পরিহার করে মশা মারতে আস্থা রাখুন কিছু ঘরোয়া জিনিসে। দেখে নিন এমনই দুটি প্রাকৃতিক কার্যকরী উপায়, যার মাধ্যমে মশা মুক্ত থাকবে আপনার ঘর।
আরও পড়ুন: ভারতে অ্যান্টিবায়োটিকের অভিশাপের বলি বছরে ৫৮ হাজার শিশু!
মশার হাত থেকে রক্ষা পেতে রাসায়নিক মেশানো বা ক্রিম ব্যবহারের প্রবণতা কমান। ছবি: শাটারস্টক।
একটি গোটা লেবু চার টুকরো করে কেটে, কাটা অংশে অংসে পাতিলেবুর শাঁসের মধ্যে কয়েকটা লবঙ্গ গুঁজে দিন। এমন ভাবে গাঁথবেন, যাতে লবঙ্গর মাথাগুলি বাইরের দিকে বেরিয়ে থাকে। এই ভাবে বাড়ির নানা কোণে বা জানালার কাছে প্লেটে করে রেখে দিন লেবু-লবঙ্গের এই মিলমিশ। এতে ঘরে মশা প্রবেশ করবে না। লেবু ও লবঙ্গের যৌথ গন্ধে মশা পালাবে আবার রাসায়নিকের শরণও নিতে হবে না।
ইতিহাসের পাতায় আজকের তারিখ, দেখতে ক্লিক করুন — ফিরে দেখা এই দিন।
আরও পড়ুন: জিভ পুড়ে গিয়েছে? নিমেষে আরাম পান এ সব উপায়ে
কর্পূরের গন্ধ সহ্য করতে পারে না মশারা। কর্পূর উদ্বায়ী বলে একে খোলা জায়গায় ফেলে রাখা যায় না। সে ক্ষেত্রে কর্পূরের ট্যাবলেট কিনে এনে তাকে একটা জলভর্তি পাত্রে ফেলে রাখুন। এতে কর্পূর উবে যাবে না আবার মশাও দূরীভূত হবে সহজে। দিন দুই অন্তর অন্তর এই জল পরিবর্তন করুন। পুরনো জল ফেলে না দিয়ে তা দিয়ে ঘরের মেঝে পরিষ্কার করলেও তা পিঁপড়ে, ইঁদুর ইত্যাদি থেকে দূরে থাকবে ঘর।