এসি-র আরাম ছেড়ে রাস্তায় বার হলেই ঘেমেনেয়ে এক্কেবারে নাজেহাল! জামা-কাপড় ভিজে জবজবে। শ্যাম্পু করা চুলও ধুলো-ময়লায় চটচটে। প্রতি দিন শ্যাম্পু করেও এর হাত থেকে রেহাই নেই। এই আবহাওয়ায় চুলে তেল মাখার কথা অনেকেই ভাবতে পারেন না। তবে প্রতি দিন শ্যাম্পুর বদলে ট্রাই করে দেখতে পারেন এই কয়েকটি তেল।
ড্যামেজড হেয়ারের জন্য অ্যাভোকাডো অয়েলের জুড়ি মেলা ভার। এটি অত্যন্ত হাল্কা। ভিটামিন এ, বি, ডি, ই ছাড়াও তা ছাড়া এতে রয়েছে আয়রন, অ্যামিইনো অ্যাসিড এবং ফলিক অ্যাসিড। এ সবগুলিই হেয়ার গ্রোথের জন্য উপকারি। ফলে শ্যাম্পু ছেড়ে সপ্তাহে নিয়মিত অ্যাভোকাডো অয়েল মাখুন।
সমস্ত রকমের হেয়ার টাইপের জন্য বেশ উপকারি নারকেল তেল। খুশকি নিয়ন্ত্রণে রাখা ছাড়াও ড্রাই স্ক্যাল্পেরও জন্য এটি বেশ কাজে আসে। তা ছাড়া, চুলের বৃদ্ধির জন্যও প্রতি দিন নারকেল তেল মাখতে পারেন।
নারকেল তেলের মতোই সমস্ত ধরনের হেয়ার টাইপেই জোজোবা অয়েলের জবাব নেই। কোঁকড়ানো চুল সামলাতে পারছেন না? তবে প্রতি দিন এই তেল মেখে দেখতে পারেন। একেবারেই চটচটে না হওয়ায় এই গরমে মাখতেই পারেন জোজোবা অয়েল।
মাথার চুল পড়ে যাচ্ছে? তবে এই তেল মেখে দেখতে পারেন। পাতলা চুলের জন্য একেবারে আদর্শ আমন্ড অয়েল। নিয়মিত এই তেলের ব্যবহারে চুলের বৃদ্ধি ঘটে। তা ছা়ড়া, এতে ভিটামিন ই থাকায় চুলের গোড়ায় পুষ্টিও জোগায় আমন্ড অয়েল। এই তেল মেখে এক বার মাথা ধুয়ে নিয়ে ধুলোময়লার হাত থেকেও রেহাই পাবেন।
হেয়ার কন্ডিশনার হিসেবে অলিভ অয়েলের তুলনা মেলা ভার। এতে অ্যালার্জিক রিঅ্যাকশন হয় না। ফলে, আপনার হেয়ার টাইপ সেনসিটিভ হলে মাখতে পারেন। অত্যন্ত হাল্কা হওয়ায় মশ্চারাইজার হিসেবেও ব্যবহার করতে পারেন।