electric

ইলেকট্রিক বিলে দেদার খরচ হয়ে যাচ্ছে? এই সব কৌশলে টাকা বাঁচান সহজেই

মাসের শুরু থেকেই যদি সাবধান হওয়া যায়, তা হলে মাসের শেষে এই বিল নিয়ে চিন্তা সহজেই দূর হয়। জানেন কী কী সহজ উপায় অবলম্বন করলেই বিলের খরচ কমবে সহজেই?

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ১৫ নভেম্বর ২০১৮ ১৮:৫৯
Share:

বিদ্যুতের বিল বাঁচাতে অবলম্বন করুন কিছু জরুরি কৌশল। ছবি: শাটারস্টক।

শীত কাল সামনেই বলে আমরা অনেকেই ভেবে নিই ইলেকট্রিক বিলের খরচ কমবে অনেকটাই। কিন্তু ভুলে যাবেন না, পাখা-এসি না চললেও ঘন ঘন গরম জল ও গিজার ব্যবহার বিলের অঙ্ককে খুব বেশি পরিবর্তন করবে না। তাই বিল বাঁচাতে সারা বছরই রপ্ত করুন বিশেষ কিছু অভ্যাস।

Advertisement

মাসের শুরু থেকেই যদি সাবধান হওয়া যায়, তা হলে মাসের শেষে এই বিল নিয়ে চিন্তা সহজেই দূর হয়। কেবল মাত্র সময়ে সময়ে আলো-পাখা বন্ধ করাই নয়, বিল কমাতে পারে আরও কিছু বিশেষ অভ্যাস।

বৈদ্যুতিক যন্ত্রপাতি ব্যবহারের সে সব কৌশল জানলে বুকপকেট কিছুটা আরাম পাবে বইকি! আর ইলেকট্রিক বিলের পিছনে অনর্থক অতিরিক্ত অর্থব্যয় রুখে দিলে সারা মাসের সঞ্জয়ও বাড়বে খানিকটা। বিল বাঁচাতে এ বার থেকে এই সব কৌশল অনুসরণ করলে সুফল পাবেন আপনিও।

Advertisement

আরও পড়ুন: ওষুধ হিসাবে নয়, ভিটামিন ই ক্যাপসুলকে এমন ভাবে ব্যবহার করেছেন কখনও?

কম বিদ্যুৎ খরচ হয় এমন আধুনিক পদ্ধতির আলো ব্যবহার করলে খরচ কমে অনেকটাই। ছবি: শাটারস্টক।

বাল্‌ব বা টিউব মাঝে মধ্যেই পরিষ্কার করুন। এতে ভিতরের তার ও ফিলামেন্টে ধুলো জমে না, বাড়তি বিদ্যুৎ টানারও প্রয়োজন হয় না। আজকাল আধুনিক সব ওয়্যারিংয়ের ব্যবহার প্রচলিত। দেওয়ালের প্লাস্টার চটিয়ে তা বদলানো সব সময় যায় না। কিন্তু অনেক পুরনো ওয়্যারিং অতিরিক্ত বিদ্যুৎ খরচের জন্য দায়ী। তাই দশ বছর অন্তর প্লাস্টার চটিয়ে বদলে ফেলুন ওয়্যারিং। অনেকেই ওয়্যারিংয়ের সময় কমদামি তার ব্যবহার করেন। এমন না করে প্রথম থেকেই ব্যবহার করুন দামি তার। এতে এক বার একটু খরচ হলেও সারা জীবনের খরচের ভার লাঘব হয়। পাখা-আলো এ সবও পাঁচ-ছ’বছর অন্তর বদলান। ফ্রিজ ব্যবহারের সময় তার দরজা বার বার খোলেন বা অনেক ক্ষণ দরজা খুলে রেখে কাজ করেন? এই অভ্যাস বদলান। ফ্রিজ বার বার খুললে বেশি বিদ্যুৎ খরচ হয়। ফ্রিজের নিচে বা পিছনে থাকা কন্ডেনসার কয়েলটি মাঝে মধ্যেই পরিষ্কার করুন। এখানে ময়লা জমে থাকলে, বিদ্যতের খরচ প্রায় ২০ শতাংশ বেড়ে যায়। যে সব ঘরে খুব চড়া আলো লাগে না, সেই সব ঘরের পাওয়ার কমিয়ে ব্যবহার করুন। কম বিদ্যুৎ খরচ হওয়া আধুনিক পদ্ধতির আলো ব্যবহার করুন।

আরও পড়ুন: উত্তেজনায় হাত-পায়ের তালু ঘামে? কোনও অসুখ নয় তো!

কম্পিউটার বা টিভি দেখতে দেখতে অনেকেই স্ট্যান্ড বাই মোডে রেখে দেন সে সব। এতে খরচের মাত্রা বেড়ে যায় ৯০ শতাংশ। সুতরাং এই অভ্যাস বদলান। কাজ না থাকলে বন্ধ করে রাখুন কম্পিউটার। টিভি বা এসি ব্যবহারের পর তা বন্ধ করুন সুইচ বোর্ড থেকে। অনেকেই রিমোট থেকে তা বন্ধ করেই নিশ্চিন্ত তাকেন। এই স্বভাব বিদ্যুতের খরচ বাড়ায়। অকারণে বৈদ্যুতিন সরঞ্জামের ব্যবহারে রাশ টানুন। যে কাজ সে সবের ব্যবহার ছাড়াও করা সম্ভব, তাতে অযথা বৈদ্যুতিন সরঞ্জাম ব্যবহার করবেন না। লাইট, এসি ও অন্যান্য বৈদ্যুতিক যন্ত্রের জন্য প্লাগ ইন টাইমার লাগিয়ে নিতে পারেন। এতে যতটা প্রয়োজন, ততটাই বিদ্যুৎ ব্যবহার হয়। সাধারণ রেগুলেটরের বদলে ইলেকট্রনিক ও আধুনিক রেগুলেটর ব্যবহার করুন। এতে বিদ্যুৎ খরচ কমে। নতুন কোনও বৈদ্যুতিন সরঞ্জাম কিনলে বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী যন্ত্র কিনুন। কেনার আগে সরকারি নিয়মের স্টার রেটিং দেখে নিন।

গ্রাফিক: তিয়াসা দাস।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement