চিনা খাবারের নতুন মেনু নিজস্ব চিত্র।
বেশ কিছু দিন বন্ধ ছিল রেস্তরাঁ। ফিরে এল এ বার নতুন মেনু নিয়ে। চিনা খাবারের সঙ্গে যুক্ত হল জাপান, তাইল্যান্ডের নানা পদও।
সল্টলেক চত্বরে বছর ২২ ধরে চলছে ‘হাকা’। ইন্দো-চিনা বা বিশুদ্ধ চিনা খানার ঠিকানা বলে পরিচিত। এ বার নতুন রূপে দেখা দেওয়ার জন্য প্রস্তুত। সুশি থেকে সয় ভেটকি সয়, ঝাল ঝাল চিলি চিকেন থেকে কুং পাও চিকেন— সাধ্যের মধ্যেই খাঁটি চিনা খাবারের স্বাদ চেখে দেখতে অনেকেরই আনাগোনা সেখানে।
পুরনো যা পাওয়া যেত, তার সবই থাকছে। তবে নতুন কিছু সংযোজন হয়েছে। এমনটাই জানিয়েছেন ‘স্পেশ্যালিটি রেস্তঁরা লিমিটেড’-এর কর্ণধার অঞ্জন চট্টোপাধ্যায়। তিনি জানালেন, গড়পড়তা চিনা খাবার তো প্রায়ই খাওয়া হয়। কিন্তু এখন কমবয়সিদের স্বাদ বদলেছে। তাই ‘নতুন হাকা’-র নয়া সংযোজন হল সুশি। জাপান, তাইল্যান্ড, মালয়েশিয়ার নানা পদও এখানে রাঁধছেন শেফরা। খাস হংকং থেকে শেফ এসে সুশি রান্না শিখিয়ে গিয়েছেন। নতুন পদের মধ্যে আরও একটি আকর্ষণ হল বাও। ‘টেরিয়াকি চিকেন ওপেন বাও’ কমবয়সিরা চেটেপুটে খাচ্ছেন।
হাকার বিশেষ আকর্ষণ সুশি। নিজস্ব চিত্র।
নবরূপে উদ্বোধনের পরেই বেশ ভাল অফার দিচ্ছে হাকা। সোম থেকে শুক্র সাধ্যের মধ্যেই বুক করা যাবে বুফে। মেনুতে থাকবে হংকং স্টাইল ড্রামস অফ হেভেন, কুং পাও চিকেন, ভেটকি সয় চিলি গার্লিক, ফ্রায়েড রাইস, হানি নুডলস, ক্যারামেল কাস্টার্ডের পাশাপাশি গোল্ডেন ফ্রায়েড তেম্পুরা প্রন্স, সিজলিং স্টোন পটস, ব্লু বেরি চিজ কেক এবং আইস ক্রিম।
মাছেরও নানা পদ রয়েছে। নিজস্ব চিত্র।
নতুন হাকার আরও একটি আকর্ষণ হল ককটেল। নতুন নতুন স্বাদের ককটেল বানাচ্ছেন শেফরা। রেস্তরাঁর প্রধান শেফ ইন্দ্রনীল ভট্টাচার্য বললেন, “ওরিয়েন্টাল ককটেল বানাচ্ছি আমরা, যাতে জুঁই ফুলের ফ্লেভার দিচ্ছি, যা আগে কখনও হয়নি। আম পান্নার ককটেল এখানকার বিশেষত্ব। টক-মিষ্টি কাইপিরোস্কা ককটেলও অনেকের ভাল লাগবে।”
শিশুদের জন্যও বিশেষ আয়োজন রাখছে ‘হাকা’। রেস্তরাঁয় নিয়ে গেলে খুদেকে কী খাওয়াবেন, সেটা ভেবে বাবা-মায়েরাও নাজেহাল হয়ে পড়েন। এ দিকে চাইনিজ পেলে বাড়ির খুদে সদস্যটি সোনামুখ করেই খেয়ে নেয়। তাই তাদের কথা ভেবে ‘হাকা’-র মেনুতে থাকছে কম ঝাল দেওয়া চিলি চিকেন, হানি নুডল্স, বাটার গার্লিক নুডলস।