Unknown Restaurant

বাঙালি খাবার ছাড়া চলে না? রসনা তৃপ্ত করতে ঢুঁ মারতেই পারেন শহরের ৫ কম চেনা রেস্তরাঁয়

কলকাতায় তো বাঙালি রেস্তরাঁর অভাব নেই। প্রচলিত যে সব রেস্তরাঁর নাম সকলের মুখে মুখে ঘোরে, সেগুলি ছাড়া আরও অনেক খাওয়ার জায়গা আছে।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

শেষ আপডেট: ০২ জুন ২০২৩ ২১:১১
Share:
Symbolic Image of bengali cuisine

প্রচলিত যে সব রেস্তরাঁর নাম সকলের মুখে মুখে ঘোরে, সেগুলি ছাড়া আরও অনেক খাওয়ার জায়গা আছে। ছবি: সংগৃহীত।

গরমের ছুটিতে প্রবাসী বন্ধু সপরিবারে কলকাতায় আসছে। আবদার, বাঙালি খাবার খাওয়াতে হবে। এর আগে যত বারই কলকাতায় এসেছে রেস্তরাঁয় বসে খাওয়ার সৌভাগ্য হয়নি। বিশেষ বিশেষ অনুষ্ঠানে গোটা কলকাতা জুড়ে যা ভিড় হয়, অনলাইনে খাবার অর্ডার দেওয়া ছাড়া অন্য উপায় থাকে না। আর খাবারের মানও অল্পবিস্তর খারাপ হয়। তাই ঠিক হয়েছে এ বার একেবারে উপলক্ষহীন ভাবেই খেতে যাওয়া হবে। কিন্তু কলকাতায় তো বাঙালি রেস্তরাঁর অভাব নেই। প্রচলিত যে সব রেস্তরাঁর নাম সকলের মুখে মুখে ঘোরে, সেগুলি ছাড়া আরও অনেক খাওয়ার জায়গা আছে। সেগুলির মধ্যে থেকে কোন একটিতে বন্ধুবান্ধব নিয়ে যেতেই পারেন।

Advertisement

১) ঘরে বাইরে

Advertisement

রবি ঠাকুরের উপন্যাস ‘ঘরে বাইরে’র নাম অনুসারে এই রেস্তরাঁর নামকরণ করা হয়েছে। কালিঘাটের কাছে হরিশ মুখার্জী রোডের উপর এই রেস্তরাঁ চিনতে অসুবিধা হওয়ার কথা নয়। মাছ, মাংস থেকে নিরামিষ বিভিন্ন পদের সম্ভার রয়েছে এখানে। এখানকার চিতল মাছের মুইঠ্যা এক বার খেলে মুখে লেগে থাকবে।

২) কেয়ার অফ বাঙালি

বাড়ি যদি কলকাতার উত্তর প্রান্তে হয়, তা হলে হাতিবাগানের কাছাকাছি রয়েছে ‘কেয়ার অফ বাঙালি’। ডাব চিংড়ি, সর্ষে ইলিশ, কষা মাংস— কোনটা ছেড়ে কোনটা খাবেন! হাতে সময় নিয়ে হাতিবাগান মার্কেটে কেনাকাটা, সঙ্গে জমিয়ে খাওয়াদাওয়া হয়ে যেতেই পারে এক দিন।

৩) বাবু কালচার

কলকাতায় ঘুরতে আসবেন আর গড়িয়াহাটে এক বার ঢুঁ দেবেন না, তা হয়? কেনাকাটা করে ক্লান্ত হয়ে বাড়ি ফিরে সেই তো ‘ফুড ডেলিভারি অ্যাপ’-এ খাবার অর্ডার দিতে হবে। তা না করে গড়িয়াহাট মোড় থেকে বাঁ দিকে একটু এগিয়ে সোজা চলে যান ডোভার লেনের ‘বাবু কালচার’-এ। বাঙালি খাবারের অন্যতম সেরা প্রতিষ্ঠান এই রেস্তরাঁটি।

৪) খাঁটি দামোদর শেঠ

গড়িয়াহাট থেকে রাসবিহারীর দিকে আসার পথে লেক মার্কেট। ‘সেখানে রয়েছে খাঁটি দামোদর শেঠ’ রেস্তরাঁটি। রবি ঠাকুরের লেখা ‘দামোদর শেঠ’ কবিতায় লেখা কাঁকড়ার ডিম না পেলেও এখানকার চিংড়ির মালাইকারির স্বাদ মুখে লেগে থাকার মতো।

৫) কলকাতা রাজবাড়ি

যতীন দাশ রোড, কালিঘাটের কাছে এই রেস্তরাঁটিও বাঙালি খাবারের জন্য বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। তবে এখানকার বিশেষত্ব হল বিভিন্ন পদে সাজানো বাঙালি খাবারের থালি। পাঁচ রকম ভাজা, কলকাতা ভেটকি ফ্রাই, গন্ধরাজ চিকেন, পোলাও, কাতলা, চিংড়ি, মটন থালিতে পাবেন প্রায় তেরো রকম পদ। শেষ পাতে ভাপা সন্দেশ, রসমালাই আরও কত কী!

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement