Exihibition

ইট-বালি-পাথরের ইমারতে থাক প্রাণের স্পন্দন! শহরের প্রদর্শনী স্থাপত্যের নতুন সংজ্ঞা খুঁজল

স্থাপত্য নিয়ে প্রদর্শনী। ৩০ অগস্ট, শুক্র-সন্ধ্যায় হল সূচনা। চলবে ১৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ৩০ অগস্ট ২০২৪ ২১:০৫
Share:

প্রদর্শনী ঘুরে দেখছেন দর্শক। নিজস্ব চিত্র।

শহরে আকাশছোঁয়া আবাসনের সংখ্যা কম নয়। তবে বহুতল তৈরির ভাবনা এবং পরিকল্পনায় যাঁরা অভিনবত্বের ছাপ রাখতে পেরেছেন, তাঁদের মধ্যে অন্যতম বালকৃষ্ণ বিথলদাস দোশী। শুধু কলকাতা নয়, স্থাপত্যশিল্পে তাঁর মনন এবং মেধার প্রতিফলন ছড়িয়ে আছে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে। গত বছর জানুয়ারি মাসে ৯৫ বছর বয়সে জীবনাবসান হয় স্থপতির। তিনি নেই, কিন্তু তাঁর সৃষ্টি রয়ে গিয়েছে তিলোত্তমার আনাচকানাচে। স্থাপত্য শিল্প হলে, স্থপতি শিল্পী। শিল্পীর শিল্পকর্মকে উদ্‌যাপন করতেই আয়োজন করা হয়েছে বিশেষ প্রদর্শনীর। ‘দোশী মেমোরিয়াল এগজ়িবিশন’-এর আয়োজনের কান্ডারি নেওটিয়া সংস্থা। ৩০ অগস্ট, শুক্র-সন্ধ্যায় সূচনা হল প্রদর্শনীর। চলবে ১৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত। স্থান রাজকুটির।

Advertisement

প্রদর্শনীর অন্দরের সাজ। নিজস্ব চিত্র।

প্রদর্শনী সাজানো হয়েছে দোশীর শিল্পকর্ম দিয়ে। তাঁর পরিকল্পিত বিভিন্ন নকশা, পরিকল্পনার ব্লু-প্রিন্ট, স্থাপত্যের ছোট সংস্করণ রয়েছে প্রদর্শনীতে। তা ছাড়া, এই প্রদর্শনী সাম্প্রতিক সময় এবং বদলে যাওয়া শহরের কথা বলে। যে পরিবর্তনে শুধু ইট-কাঠ-বালি নয়, রয়েছে ভাবনা এবং সৃজনশীলতা। মাটি থেকে আকাশের কাছাকাছি পৌঁছোয় যে ইমারত, তার দেওয়ালে কান পাতলে যাতে প্রাণের স্পন্দন শোনা যায়, সেই লক্ষ্যে পৌঁছতে চেয়েছিলেন দোশী।

বহুতল নির্মাণ শিল্পের ক্ষেত্রে এই প্রদর্শনী একটা নতুন দিগন্ত খুলে দিতে পারে। তেমনটাই মনে করেন নেওটিয়া সংস্থার কর্ণধার হর্ষ নেওটিয়া। তিনি বলেন, ‘‘এই প্রদর্শনীর আয়োজন যাঁকে ঘিরে, তিনি আমার শিক্ষক। তাঁর থেকে শিখেছি বহু কিছু। এ শহরে আমার বহু গুরুত্বপূর্ণ প্রজেক্টের নকশা করেছেন তিনি। এই প্রদর্শনীর মাধ্যমে তাঁকে সম্মান জানাতে পেরে আমরা সম্মানিত।’’

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement