সেই কলেজ জীবন থেকে ধূমপান করেন। চাকরি জীবনের মাঝামাঝিতে এসেও ছাড়তে পারছেন না। পরিবার, বন্ধু বান্ধব বারণ করলেও কাজের চাপ, স্ট্রেসের দোহাই দিয়ে বদ অভ্যাসটিকে আজো লালন পালন করে চলেছেন। এতে যে শরীরের ক্ষতি হচ্ছে তা আর আলাদা করে বলার বোধহয় প্রয়োজন নেই। যদি ধুমপান ছাড়তে না পারেন তবে অবশ্যই এই খাবারগুলো খেয়ে ক্ষতিপূরণের চেষ্টা করুন।
লেবু জাতীয় ফল- কমলালেবু, মোসাম্বি জাতীয় ফল বা যে কোনও ধরনের লেবু যেন অবশ্যই ডায়েটে থাকে। এক বার ধূমপান করলেই যে পরিমাণ নিকোটিন শরীরে জমা হয় তা দিন পর্যন্ত শরীরে থাকে। ত্বকের কোষ, রোমকূপের ক্ষতি করে। নিয়মিত ধুূমপান করলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমতে থাকে। লেবু জাতীয় ফলের মধ্যে থাকা ভিটামিন সি নিকোটিনের প্রকোপ কমিয়ে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। ত্বকের কোষেরও ক্ষতিপূরণে সাহায্য করে।
আদা- ধূমপানের ফলে শরীরে যে নিকোটিন জমায় রক্ত সঞ্চালনে ব্যাঘাত ঘটে। রক্তে বিষের মাত্র কমাতে সাহায্য করে আদা। প্রতি দিন কাঁচা আদা খেলে ফুসফুস থেকে নিকোটিন স্তর পরিষ্কার হয়। ধূমপানের নেশাও কমে।
বেদানা- ধূমপানের ফলে হৃদস্পন্দন বাড়ে। রক্তচাপ বেড়ে রক্তে অক্সিজেনের মাত্রা কমে। বেদানা খেলে ব্লাড কাউন্ট বাড়ে। ফলে রক্ত সঞ্চালন ভাল হয়।
বাদাম- ধূমপান শরীরের রক্তনালী সঙ্কুচিত করে দেয়। বাদামের মধ্যে থাকা ভিটামিন ই রক্ত সঞ্চালন স্বাভাবিক রেখে হার্টের অসুখে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি কমায়।
বেরি জাতীয় ফল- ধূমপান রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়িয়ে এনার্জি জোগায়। ঠিক একই কাজ করে ক্র্যানবেরি বা অন্য বেকি জাতীয় ফল। তাই সিগারেটের বদলে ক্র্যানবেরি খান। এতে নেশাও কমবে। বা
গাজর- যখনই আপনি ধূমপান করেন তখনই শরীরে ভিটামিন এ ও সি-এর মাত্রা কমে। রক্ত সঞ্চালন, স্নায়ুতন্ত্র, মস্তিষ্কের ক্ষতি হয়। প্রতি দিন গাজর খেলে শরীরে ভিটামিন এ, সি ও কে-র সঠিক মাত্রা বজায় রাখে।
পালং শাক- ফলিক অ্যাসিড ও ভিটামিন বি৯ শরীর থেকে নিকোটিন দূর করতে পারে। পালং শাকের মধ্যে এই দুটোই প্রচুর পরিমাণে রয়েছে। ধূমপানের ফলে ঘুমে ব্যাঘাত ঘটে। পালং শাক সেই শরীরের সেই ঘাটতি মিটিয়ে ভাল ঘুমে সাহায্য করে।