মনের মতো করেই কাটান, শুধু এই নিয়মগুলি মানুন। ছবি: ফ্রিপিক।
সপ্তাহভর কাজের পর ছুটির দিনটি আলসেমি করেই কাটিয়ে দেন অনেকে। সে দিন যেন আর কোনও পরিশ্রমের কাজ করতেই মন চায় না। দিনভর শুয়েবসে কাটিয়ে, ভাতঘুম দিয়ে সন্ধের পরে শরীর আরও ক্লান্ত লাগে। গুরুত্বপূর্ণ যে কাজগুলি ছুটির দিনে করবেন বলে ভেবে রেখেছিলেন, সেগুলি করার আর উৎসাহই থাকে না। তার পর বেশি টিভি দেখা, মোবাইল ঘাঁটাঘাঁটি, রাত জেগে ওয়েবসিরিজ বা সিনেমা দেখে পরদিন শরীরের অবস্থা আরও খারাপ হয়ে যায়। তখন ঘুম থেকে উঠতেও ইচ্ছে করে না, অফিসে যেতে তো মনই চায় না। কোনও রকমে কাজের জায়গায় গিয়েও মনোযোগ দিতে পারেন না।
ছুটির দিনটা অনেকেই এমন ভাবে কাটাই বা এমন কিছু কাজ করেন, যা আলস্য আরও বাড়িয়ে দেয়। ছুটি মানে পেশাগত কাজ করছেন না ঠিকই, কিন্তু রোজকার জীবনযাপনের জরুরি অভ্যাসগুলি ছেড়ে দিলে হবে না। সে ডায়েট হোক, রূপচর্চা বা শরীরচর্চা— সবই করতে হবে নিয়ম মেনেই। জেনে নিন, কোন কাজগুলি করবেন, আর কোনগুলি নয়।
১) বাড়িতে আছেন মানেই ত্বক-চুলের যত্ন নেবেন না, তা কিন্তু নয়। বরং এই দিনটিকেই কাজে লাগান রূপচর্চার জন্য। ফেসমাস্ক, টোনিং, ময়শ্চারাইজ়িং করতে হবে। হেয়ারপ্যাক লাগিয়ে চুলেরও যত্ন নিন। নিজের খেয়াল যত রাখবেন, ততই মন ভাল থাকবে। অনেক বেশি তরতাজা লাগবে।
২) বাড়িতে শুয়েবসে থাকবেন বলে পুরনো, কোঁচকানো জামাকাপড় পরবেন না। ছেঁড়াফাটা, দাগছোপ পড়া তো নয়ই। বাড়িতে পরারই ভাল পোশাক পরুন। সারা দিন একটি জামা পরেই কাটিয়ে দেবেন না। নিজেকে পরিচ্ছন্ন রাখাও জরুরি।
৩) চুল আঁচড়ান তো? অনেকেই কিন্তু করেন না। মাথাভরা রুক্ষ, উস্কোখুস্কো চুল নিয়েই সারাটা দিন কাটিয়ে দেন। ছুটি বলে চুল ভাল করে আঁচড়ানো বা পরিপাটি করে বাঁধার ইচ্ছা থাকে না অনেকেরই। এই অভ্যাসের কারণে নিজেকে তরতাজা মনে হয় না। ক্লান্তিভাব আরও চেপে বসে।
৪) শরীরচর্চা বন্ধ করবেন না যেন। ছুটিন দিন জিমে যাওয়ার ইচ্ছে না-ও হতে পারে। বাড়িতেই সেরে নিন কিছু ব্যায়াম। হাঁটা,স্পট জগিং, স্কোয়াট করতেই পারেন। প্রশিক্ষকের পরামর্শ নিয়ে হালকা কিছু যোগব্যায়াম করুন। দেখবেন, শরীর ভাল থাকবে।
৫) মোবাইল, ল্যাপটপ বা বেশি টিভি দেখা বন্ধ করতে হবে। একটি দিন অন্তত ডিজিটাল দুনিয়া থেকে ছুটি নিন। প্রকৃতির মাঝে বেশি সময় কাটানোর চেষ্টা করুন। মোবাইল না ঘেঁটে বরং একটু বাইরে থেকে হেঁটে আসুন। কাছাকাছি পার্ক থাকলে সেখানে কিছুটা সময় কাটান। গাছপালার যত্ন নিন। নতুন গাছ কিনে এনে ঘর সাজাতে পারেন। এতে মানসিক ক্লান্তি দূর হবে।
৬) ছুটির দিনে ভূরিভোজ করতেই পারেন। কিন্তু, খুব বেশি তেলমশলা দেওয়া খাবার বা ভাজাভুজি খেয়ে ফেলবেন না। পছন্দের সবই খা্ন, তবে নিয়ন্ত্রণ রেখে। বেশি মশলা দেওয়া খাবার শারীরিক ও মানসিক ক্লান্তি অনেকটাই বাড়িয়ে দেয়।
৭) একদিনেই সব কাজ করে ফেলবেন ভেবে রাত জেগে সিনেমা বা ওয়েবসিরিজ দেখা বন্ধ করুন। ছুটির দিনে শরীরকে বিশ্রাম দিন। চোখেরও আরাম জরুরি। যত বেশি রাজ জাগবেন, ততই শরীরে অস্বস্তি বাড়বে। রাতে ঘুমের ঘাটতি দিনে ঘুমিয়ে পূরণ করা যাবে না।