অনেক ক্ষণ পর্যন্ত পেট ভর্তি রাখতে পারে চিয়া। ছবি: সংগৃহীত।
করওয়াচৌথ, শিবরাত্রির ব্রত হোক বা রমজানের রোজা— সাধারণত উপোস ভাঙা হয় জল খেয়ে। তবে রোজা চলে টানা এক মাস। প্রায় ৩০ দিন ধরে টানা ১২ ঘণ্টা বা তার বেশি সময় জল, খাবার না খেয়ে থাকলে শরীর ডিহাইড্রেটেড হয়ে পড়ে। পর্যাপ্ত পুষ্টির অভাবে শরীরে নানা রকম সমস্যাও দেখা দেয়। তাই রোজা ভাঙার সময় শুধু জল না খেয়ে তার বদলে চিয়া বীজ ভেজানো জল রাখা যেতেই পারে। পুষ্টিবিদেরা বলছেন, জলের ঘাটতি পূরণ করার পাশাপাশি রক্তে শর্করার মাত্রা স্বাভাবিক রাখতে সাহায্য করে চিয়া। এই বীজে ফাইবারের পরিমাণও বেশি। অনেক ক্ষণ পর্যন্ত পেট ভর্তি রাখতে পারে চিয়া। এ ছাড়াও নানা রকম ভিটামিন, ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড, ক্যালশিয়াম, ফসফরাস, ম্যাগনেশিয়াম, ম্যাঙ্গানিজ়, জ়িঙ্ক, আয়রনের মতো প্রয়োজনীয় বেশ কিছু খনিজ রয়েছে চিয়া বীজে।
তবে ইফতার পার্টিতে বাড়িতে যদি বন্ধুবান্ধব আসেন, এই পুষ্টিকর বীজ তাঁদের খাওয়াবেন কী করে? চিয়া বীজ দিয়ে বানানো যায় এমন তিন খাবারের সন্ধান রইল এখানে।
১) চিয়া পুডিং
গরুর দুধ বা উদ্ভিজ্জ যে কোনও ধরনের দুধের মধ্যে ভেজানো চিয়া বীজ, মধু বা মেপ্ল সিরাপ মিশিয়ে সারা রাত ফ্রিজে রেখে দিন। পরের দিন সকালে বিভিন্ন রকম ফল, বাদাম কিংবা বীজ মিশিয়ে খেতে পারেন।
২) স্মুদি বা ফলের রস
ফলের রস বা স্মুদির পুষ্টিগুণ আরও বেড়ে যেতে পারে চিয়া মেশালে। চিয়ার মধ্যে থাকা ফাইবার এবং ওমেগা ৩ ফ্যাটি অ্যাসিড শরীরে প্রয়োজনীয় খনিজের জোগান দেয়। আলাদা করে খেতে ভাল না লাগলে এই বিকল্প উপায়ে খাওয়া যেতেই পারে।
৩) বেকিং
বাড়িতে তৈরি কেক, মাফিন, পাউরুটির মধ্যে ব্যবহার করাই যায় চিয়া। যাঁরা ‘এগলেস’ কেক খান, তাঁরা কেকের মিশ্রণে ডিমের বদলে জলে ভিজিয়ে রাখা চিয়া ব্যবহার করতেই পারেন।