ছবি: শাটারস্টক।
অসাবধানতায় আপনার হাত ফস্কে কখনও কি সাধের মোবাইল ফোনটি সটান গিয়ে পড়েছে জলে? অনেকেরই এ রকমটা হয়ে থাকে। কখনও আবার বিছনার উপর রাখা জলের গ্লাসটি উল্টে গিয়েছে মোবাইলের উপর। এমন ঘটনারও সাক্ষী হয়েছেন অনেকে। আর হলে মাথায় হাত দিয়ে বসে পড়া ছাড়া বিশেষ কিছু করার থাকে না। তবে ফোনটি আইসিউতে যাওয়ার আগেই চটজলদি ঘরোয়া টোটকা ব্যবহার করে দেখুন, মোবাইলের হুঁশ ফিরছে কি না?
নিজেই নিজের চিকিৎসা করার অভ্যাস আমাদের অনেকেরই আছে। ফোনে জল ঢুকে গেলেও আমরা সেই পন্থাই নিই। আর তাতেই বাড়ে সমস্যা।
১) ড্রায়ার দিয়ে ফোন শুকোনোর চেষ্টা করেন অনেকেই। এই ভুল করবেন না। জল আরও ফোনের মধ্যে ঢুকে যাবে। আর গরম হাওয়ায় ফোনের ক্ষতিও হবে।
২) ভেজা ফোনটি কখনও চার্জারের পয়েন্ট-এর সঙ্গে যুক্ত করবেন না। এতে ফোন ব্লাস্ট হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
ফোনে জল ঢুকলে সঙ্গে সঙ্গে ফোনের সুইচ অফ করে দিন।
৩) অনেকে আটা কিংবা চালের ড্রামে ফোন ঢুকিয়ে রাখেন, এতে কোনওই লাভ হয় না, বরং ফোনে ধুলো ঢুকে ফোন নষ্ট হয়ে যায়।
৪) অনেকে আবার ফোনে জল ঢুকলে ফোনের ভিতর ফুঁ দেন কিংবা ফোন জোরে জোরে নাড়িয়ে জল বার করার চেষ্টা করেন। এতে ফোনের ভিতরে আরও বেশি জল ছড়িয়ে পড়ে। লাভের লাভ কিছুই হয় না।
তা হলে কী করবেন?
১) ফোনে জল ঢুকলে সবার আগে ফোনের ব্যাটরি, সিম ট্রে ও মেমরি কার্ড খুলে শুকোতে দিতে হবে।
২) একটা তোয়ালেতে ফোনটি ভাল করে মুড়ে সেটি বাইরে ছায়ায় রাখুন। ভুলেও রোদে রাখবেন না।
৩) এ ক্ষেত্রে জল ঢোকার সঙ্গে সঙ্গে ফোন সুইচ্ড অফ করে দিন। খুব ভাল হয় যদি সারা রাত ফোনটি বন্ধ করে রাখতে পারেন।
৪) সব থেকে ভাল উপায় হল, বন্ধ ফোনটি মোজায় ভরে নিয়ে সেই মোজার মধ্যে ভ্যাকিউম ক্লিনারের হাওয়া দিন। এই পন্থা মেনে চললে ভ্যাকিউম ক্লিনার ফোনের সব জল টেনে নেবে। তবে সাবধান, ফোন যেন ভ্যাকিউম ক্লিনারের মধ্যে চলে না যায়, সে দিকে নজর রাখতে হবে।