বারবার হাত স্যানিটাইজ করে রুক্ষ হয়ে যাচ্ছে ত্বক। নিয়মিত ক্রিম লাগানো প্রয়োজন। ছবি: সংগৃহিত
বাড়ি থেকেই কাজ করছেন অনেকে। তার উপর অনেক মেয়ে ঘর আর অফিসের কাজ সামলে নিজের জন্য বিশেষ সময় বার করে উঠতে পারছেন না অতিমারিতে। বা অনেকের মনে হচ্ছে, বাড়িতেই রয়েছি যখন ত্বকের বাড়তি যত্ন নেওয়ার প্রয়োজন নেই। কিন্তু আদপে সত্যিটা উল্টো। কয়েকটা বিষয় অবহেলা করলে মারাত্মক ক্ষতি হয়ে যেতে পারে ত্বকের। জেনে নিন কোনগুলি।
হাতের যত্ন
করোনা সংক্রমণ আটকানোর অন্যতম উপায় হাত বারবার সাবান দিয়ে ধোওয়া বা স্যানিটাইজার লাগানো। কিন্তু তাতে হাতের ত্বক রুক্ষ হয়ে যাচ্ছে ক্রমাগত। তাই ভাল কোনও হ্যান্ড ক্রিম সুযোগ পেলেই লাগাতে হবে।
সানস্ক্রিন
অনেকেই মস্ত বড় ভুল করেন, বাড়িতে সানস্ক্রিন না লাগিয়ে। কিন্তু বাড়ির মধ্যে থাকলেও দিনের বেলা এসপিএফ ৫০ বা বেশি কোনও সানস্ক্রিন নিয়মিত লাগাতে হবে। জানলার বা বারন্দার বা ছাদের যে রোদ গায়ে লাগছে, তাতেও আপনার ত্বকের ক্ষতি হতে পারে।
ক্লিনজিং-টোনিং-ময়েশ্চারাইজিং
বাড়িতে থাকলে আমার অনেক সময়েই স্নানের পর সে ভাবে রূপচর্চা করি না। কিন্তু সেটা ঠিক নয়। নিয়ম করে দু’বেলা মুখ ধোওয়া, টোনার ব্যবহার করা এবং ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করা খুব প্রয়োজন। বিশেষ করে আপনি যদি শীততাপ নিয়ন্ত্রিত ঘরে বেশির ভাগ সময় কাটান।
চুলের যত্ন
রাস্তায় বেরলে আমরা প্রত্যেক সপ্তাহে যতবার শ্যাম্পু ব্যবহার করি, বাড়িতে থাকলে তার তুলনায় কম করি। কিন্তু মাথায় রাখতে হবে, মাথার তালু যেন পরিষ্কার থাকে। বাড়িতে থাকলেও ধুলোবালি জমে। এবং তাতে চুল পড়ার সমস্যা বাড়ে। তাই নিয়মিত শ্যাম্পু, কন্ডিশনার এবং চুলে মাস্ক লাগানো প্রয়োজন। বাড়িতেই কোনও হেয়ার প্যাক বানিয়ে ফেলতে পারেন। কলা, ডিম, দই এবং মধু দিয়ে চমৎকার হেয়ার প্যাক তৈরি হয়।
হাত-পায়ের নখ
নখ পরিষ্কার রাখার বিষয়ে আমরা অনেকেই উদাসীন। পার্লারে না গেলে পেডিকিওর, ম্যানিকিওর হয় না। বাড়িতে থাকলে নিজে করতে কুড়েমি লাগে। কিন্তু এগুলি করে ফেলা বেশ সহজ। ইউটিউবে প্রচুর ভিডিয়ো পেয়ে যাবেন। সময় মতো নখ কাটা এবং পা পরিষ্কার করলে অনেক জীবাণু দূর করতে পারবেন।