Weight Loss

Diet: চটজলদি ওজন কমাতে বেশি করে তেল, ঘি, ক্রিম! এ ভাবে কি আদৌ মেদ ঝরানো সম্ভব

কম সময়ে অনেকটা বেশি মেদ ঝরাতে চাইছেন বলে এই সবই ফ্যাট জাতীয় খাবার খাচ্ছেন? ওজন কমলেও আখেরে লাভ হচ্ছে কী!

Advertisement

তিতাস চট্টোপাধ্যায়

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৩ জুন ২০২১ ১৩:০৯
Share:

স্নেহপদার্থ খেলেও ওজন কমতে পারে? ছবি: সংগৃহীত

খুব কম সময়ে অনেকটা ওজন কমাতে হবে ভেবে শুধুই খাদ্যতালিকায় রাখছেন উচ্চ ফ্যাট জাতীয় মাংস, মাছ, ডিম, তেল, ঘি, বাদাম, ক্রিম, অ্যাভোক্যাডো এই সব খাবার। এটা এক ধরনের ‘ফ্যাট ফাস্টিং ডায়েট’। মানে রোজকার খাদ্যতালিকায় ফ্যাট জাতীয় খাবারের আধিক্য। যাঁরাই চটজলদি ওজন কমানোর দিকে ঝোঁকেন, তাঁরা এটা অনুসরণ করে থাকেন।

Advertisement

ফ্যাট ফাস্টিং ডায়েট কী?

কম ক্যালোরির এই ডায়েট সাধারণত ২-৫ দিনই করতে বলেন বিশেষজ্ঞেরা। এই সময়টায় প্রতিদিন প্রায় ১০০০-১২০০ ক্যালোরি খেতে হয়, যার প্রায় সবটাই আসে ফ্যাট জাতীয় খাবার থেকে। কিটোসিস জাতীয় এই পদ্ধতিতে শরীর এই ফ্যাটকে নিজের মূল শক্তির উৎস হিসেবে ব্যবহার করে। এই সময়ে লিভার ফ্যাটি অ্যাসিডকে কিটোনস নামের অণুতে ভেঙে দেয়, যা শরীরের জ্বালানি হিসেবে কাজ করে। শরীরে কার্বোহাইড্রেট জাতীয় খাবারের উপাদান কম থাকলে এই কিটোসিস সক্রিয় হয়। ফ্যাট ফাস্টিং এই কিটোসিসকেই ত্বরান্বিত করে।

Advertisement

ওজন কমাতে কী ভাবে সহায়তা করে?

এই ডায়েটে ফ্যাট বেশি রয়েছে এবং ক্যালোরি কম। শরীরে ক্যালোরির অভাব ঘটিয়ে দ্রুত ওজন কমানোর কথা ভেবেই এই ডায়েট। খাদ্যতালিকায় ক্যালোরি ও কার্বোহাইড্রেট কম থাকলে বেশি ওজন কমার সম্ভাবনা থাকে।

এটি কি স্বাস্থ্যকর?

বিশেষজ্ঞদের মতে, এটা কিটোজিনিক ডায়েটের থেকেও আর এক ধাপ ওপরে। ৮০-৯০% ফ্যাটই খেতে হয়। কার্বোহাইড্রেটের পরিমাণ থাকে মোটামুটি ৫%। প্রোটিনও খুব কম থাকে। পু্ষ্টিবিদ অর্পিতা দেব বলছেন, “২-৫ দিনের বেশি এই ডায়েট চালানো উচিত নয়। এর চেয়ে বেশি দিন চালালে পেশির ক্ষয় হতে পারে, ডিহাইড্রেশনের সমস্যা দেখা দিতে পারে। এছাড়া শরীর থেকে তরল পদার্থ ক্ষরণ হবে। এ সবের ফলে দেহের ওজন কম দেখাবে। কিন্তু আসল যে ফ্যাট ঝরায় খুব বেশি ফারাক হবে, তা নয়। শরীরে মাইক্রো নিউট্রিয়েন্টস কমে যাওয়ার সমস্যাও দেখা দেবে।’’

কারা এই ডায়েট করতে পারেন?

এই ডায়েট শুরু করার আগে যতখানি ফ্যাট খেতে হবে, ততখানি ফ্যাট হজম করার ক্ষমতা আছে কি না ক্লিনিক্যালি পরীক্ষা করে দেখতে হবে। সব জৈবরাসায়নিক পরীক্ষা করে দেখার পর, যদি তার শরীরে সেই পরিমাণ সুস্থতা থাকে, কিংবা সেই ফ্যাট হজম করার মতো বিপাক হার থাকে, তবেই একজন নির্দেশকের সঙ্গে কথা বলে এই ডায়েট করা যেতে পারে। পুষ্টিবিদ অর্পিতা দেব বলছেন, “কম বয়সে সুস্থ মানুষের যদি অতিরিক্ত ওজন থাকে, এবং সেটা যদি কম সময়ে ঝরাতে হয়, তাহলে নির্দেশকের পরামর্শ মেনে সে ২-৫ দিন এই ডায়েট করতে পারে, তার বেশি নয়। এটা কারও জন্যই ভাল খাদ্যাভ্যাস বা ডায়েট নয়।”

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement