শরীরের নিজস্ব ইমিউন মেকানিজমের কারণেই আমাদের ডায়রিয়া হয়।
প্যালারামকে মনে আছে? টেনিদার সাগরেদ? ঝিঙে দিয়ে সিঙি মাছের ঝোল ছাড়া অন্য কিছু খেলেই পেট ছেড়ে দিত প্যালার। আমাদের চারপাশেও এমন দৃষ্টান্ত হামেশাই দেখা যায়। অনেক বাচ্চাই প্রায়শ পেট খারাপ, ডায়রিয়ার সমস্যায় ভোগে। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই কিন্তু বড় হওয়ার পর দেখা যায় এই সব শিশুরা বেশ স্বাস্থ্যবানই হয়েছে। এর পিছনে কিন্তু রয়েছে বৈজ্ঞানিক কারণ। সেল হোস্ট অ্যান্ড মাইক্রোব জার্নালে প্রকাশিত একটি গবেষণার রিপোর্ট অনুযায়ী, শরীরের নিজস্ব ইমিউন মেকানিজমের কারণেই আমাদের ডায়রিয়া হয়। এর মাধ্যমে ইনফেকশনের প্রাথমিক পর্যায়েই শরীর থেকে প্যাথোজেন অর্থাত্ রোগ সৃষ্টিকারি ব্যাকটেরিয়া দূর হয়। যার ফলে শরীর সুস্থ থাকে। তাই ডায়রিয়া আসলে আমাদের স্বাস্থ্য ভাল রাখে।
ব্রিহ্যাম অ্যান্ড উইমেন হাসপাতালের প্যাথোলজি অ্যান্ড মে়ডিসিন বিভাগের গবেষক জেরল্ড টার্নার এই গবেষণাপত্রে বলেছেন, ডায়রিয়া সত্যিই খাদ্যনালী থেকে প্যাথোজেন দূর করে কিনা সে বিষয়ে বহু দিন ধরেই বিতর্ক রয়েছে। আমাদের শরীরে ইন্টারলিউকিন-২২ নামক ইমিউন সিস্টেম মলিকিউলের কার্যকারিতা নিয়েও প্রশ্ন ছিল। এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে সিট্রোব্যাকটর রোডেনশিয়ামে আক্রান্ত ইঁদুরের মডেলের উপর গবেষণা করা হয়। এই ইনফেকশনের লক্ষণ আমাদের ই কোলাই ইনফেকশেনর লক্ষণের সঙ্গে মেলে। এই মডেলের সাহায্যে গবেষণার মাধ্যমে দেখা গিয়েছে, ইনফেকশন হওয়ার মাত্র দু’দিনের মধ্যেই ইন্টারলিউকিন-২২ ও ক্লডিন-২ মলিকিউল শরীরের প্যাথোজেন পরিষ্কার করে। কোনও রকম প্রদাহ বা এপিথেলিয়াল ড্যামেজ হওয়ার আগেই।
আরও পড়ুন: এগুলো দেখা দিলে আলু খাবেন না
এই দুই অণুই মানুষের শরীর থেকে প্যাথোজেন দূর করে। যার ফলে ইনফেকশন গুরুতর আকার ধারণ করার আগেই ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয় শরীর।