ছবি: অনির্বাণ সাহা।
সেই অর্থে পুজো শেষ হলেও ছুটি শেষ হয়নি। চার দিকে এখনও একটা পুজো পুজো আমেজ রয়েছে। এর মধ্যেই এসে গিয়েছে দীপাবলি। ধনতেরাসের কেনাকাটাও শেষ। চলছে কালীপুজো আর ভাইফোঁটার প্রস্তুতি পর্ব। আড্ডা, খাওয়াদাওয়া ইত্যাদি কোথায় কী হবে তার তো প্ল্যানিং নিশ্চয়ই হয়ে গিয়েছে। কিন্তু কী পরবেন? সেটা এখনও ঠিক করে উঠতে পারেননি? কিংবা ভাইফোঁটায় উপহার হিসেবে দাদা বা ভাইয়ের থেকে এ বছর কি নেবেন তাও এখনও ভাবেননি? কাজেই অপশন প্রচুর। আর নিজেকে নতুন লুকে দেখতে কে না চায়।
প্রতি বছর পুজোতে নানা রকম শাড়ির চমক থাকলেও জামদানি থাকবে না এ রকমটা হয় না। আর আপনার কালেকশনে একটা জামদানি শাড়ি তো নিশ্চয়ই আছে। এ বার পরুন জামদানির গাউন। তরুণ ডিজাইনার অর্ণব বন্দ্যোপাধ্যায় ঢাকাই জামদানি দিয়ে বানিয়ে ফেলেছেন নানা রকম গাউন। শুধু গাউন নয়, তাঁর কালেকশনে আছে লেহঙ্গা, টপ, জ্যাকেট, কুর্তি আরও কত কিছু। পুজো বা যে কোনও সকালের অনুষ্ঠানে এই ঢাকাই গাউন দেখতে তো সুন্দর লাগবেই এবং অন্যান্য পোশাকের থেকেও একেবারে আলাদা।
ঢাকাই নিয়ে প্রায় সকলেই অভিযোগ করেন বেশ কিছু দিন পরার পরই নাকি ঢাকাই ফেঁসে যায়। এ প্রসঙ্গে অর্ণব জানালেন, ‘‘ফেঁসে গেল তবেই বুঝবেন সেই ঢাকাই একেবারে খাঁটি। এ ছাড়াও সরাসরি রোদে না দিলে, অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল ডিটারজেন্ট ব্যবহার করলে এবং বছরে দু’বার ড্রাই ওয়াশ করলে ঢাকাই অনেক বেশি দিন টেকসই হয়।
ঢাকাই গাউনে কী ভাবে সেজে উঠবেন, তার কিছু ঝলক রইল আপনাদের জন্য।
পুজোর দিন সকালে বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা দেওয়ার প্ল্যান থাকলে পরুন সাদা সোনালি কম্বিনেশনের ঢাকাই ড্রেস। সঙ্গে প্রয়োজন মতো গয়না।
সন্ধেবেলা আড্ডা, পার্টি, বাজি পোড়ানো ইত্যাদি নানা রকম প্ল্যান থাকে। আবহাওয়া একটু শুকনোর দিকে। তাই পছন্দের তালিকায় থাকুক ইন্দোওয়েস্টার্ন। পালাজো কিংবা লং স্কার্ট যে কোনও কিছুর সঙ্গেই মানানসই। কালার প্যালেট থেকে অবশ্যই বাছুন যে কোনও উজ্জ্বল রং। সঙ্গে কানে একটা ঝোলা দুল আর হাতে ঘড়ি থাকলেই যথেষ্ট।
পোশাক- অর্ণব বন্দ্যোপাধ্যায়
মডেল- পায়েল, অদিতি।
মেক আপ, হেয়ার- সুমন্ত , কাকলি।
ছবি- অনির্বাণ সাহা।