বেশ কয়েক বার এই শারীরিক যন্ত্রণার মধ্যে দিয়ে যাওয়ার পর অন্তঃসত্ত্বা হন তিনি। ছবি: সংগৃহীত
মা হওয়া যে মুখের কথা নয়, তা সন্তান জন্ম দিতে গিয়ে উপলব্ধি করেছেন অভিনেত্রী। তিনি যে অন্তঃসত্ত্বা, তা জানতে পারার পর থেকে বিভিন্ন শারীরিক জটিলতার মধ্যে দিয়ে গিয়েছিলেন। সম্প্রতি সে অভিজ্ঞতা তিনি একটি ভিডিয়োর মাধ্যমে জানিয়েছেন। দেবিনা মা হয়েছেন আইভিএফের মাধ্যমে।
ঘন ঘন ইঞ্জেকশন, ওষুধ, শারীরিক যন্ত্রণার মধ্যে প্রতিনিয়ত যেতে হয়েছে দেবিনাকে। শুধু শরীরে নয়, মনেও এর প্রভাব পড়েছে। একবারেই আইভিএফ সফল হয়নি তাঁর ক্ষেত্রে। বেশ কয়েক বার এই শারীরিক যন্ত্রণার মধ্যে দিয়ে যাওয়ার পর অন্তঃসত্ত্বা হন তিনি।
কাজের চাপ, সঠিক পরিকল্পনার অভাব— এমন বিভিন্ন কারণে অনেকেই মা হতে চান না। বা চাইলেও অনেকটা দেরি করে ফেলেন। বয়স বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে শারীরিক ক্রিয়াকলাপও পরিবর্তিত হতে থাকে। তাই অনেকটা বেশি বয়সে গিয়ে মা হওয়ার সিদ্ধান্ত অনেক সময়ে শারীরীক জটিলতা সৃষ্টি করে। যেটা অত্যন্ত যন্ত্রণাদায়ক। এ ক্ষেত্রে দেবিনার পরামর্শ, মা হওয়ার সিদ্ধান্ত একান্তই ব্যক্তিগত। কিন্তু স্বাস্থ্যের ঝুঁকি কমাতে আগে থেকে ডিম্বাণু সংগ্রহ করে রাখতে পারেন। এতে কিছুটা হলেও ঝুঁকি কম থাকে।
দীর্ঘ শারীরিক এবং মানসিক লড়াইয়ের শেষে অবশেষে ফুটফুটে কন্যাসন্তানের মুখ দেখেছেন অভিনেত্রী। শরীরের সঙ্গে লড়াই তো ছিলই, সেই সঙ্গে সামাজিক চাপও কম ছিল না। আইভিএফ-এর মাধ্যমে মা হয়েছেন বলে অনেক কথাও শুনতে হয়েছে তাঁকে। কিন্তু কোনও কিছুতেই তিনি ভেঙে পড়েননি। দাঁতে দাঁত চেপে সব যন্ত্রণা সহ্য করে গিয়েছেন। পাশে পেয়েছিলেন স্বামী গুরমিতকে। তবে এখন আর সে সব কথা ভাবতে চান না দেবিনা। মেয়েকে মনের মতো করে বড় করে তোলাই এই মুহূর্তে তাঁর জীবনের অন্যতম লক্ষ্য বলে জানিয়েছেন তিনি।