‘ভবঘুরে’ দম্পতি। ছবি: সংগৃহীত।
বেড়াতে বড়ই ভালবাসেন, তাই অদ্ভুত এক পেশাকেই জীবিকা করে নিয়েছেন দম্পতি। পেশায় তাঁরা ‘হাউস সিটার্স’। ঠিক কী করতে হয় এই পেশায়? মূলত কোনও বাড়ির মালিক যদি সপরিবার ছুটি কাটাতে বাইরে যান, তখন তাঁদের গোটা বাড়ি, পোষ্য, গাছপালার রক্ষণাবেক্ষণ ও নিরাপত্তার দায়িত্ব নিজেদের কাঁধে তুলে নেন দম্পতি। এর বদলে নির্ধারিত দিনগুলি তাঁরা ওই বাড়িতেই কাটান।
মূলত যে সব জায়গায় ভ্রমণ করতে যাওয়ার ইচ্ছে থাকে, সেখানেই নতুন বাড়ির খোঁজ করেন অ্যামি হর্নসবি ও তাঁর স্বামী। আর সেই রকম বাড়ি পেয়ে গেলেই ব্যাগ গুছিয়ে বেড়িয়ে পড়েন অজানার উদ্দেশে। হোটেলের খরচ বাঁচে আর নতুন জায়গায় ঘোরাও হয়ে যায়। বেশ কয়েক বছর ধরে এই ভাবেই অল্প খরচে দেশ-বিদেশে ঘুরে বেড়াচ্ছেন দু'জনে। ইতিমধ্যেই ১৫টি দেশ ঘুরে ফেলেছেন অ্যামিরা।
অ্যামি লন্ডনের বাসিন্দা ও তাঁর স্বামী আমেরিকার বাসিন্দা। তবে ভিসার সমস্যার কারণে কোথাও খুব বেশি দিন একসঙ্গে থাকতে পারেন না তাঁরা। দক্ষিণ কোরিয়ায় দু’জনের আলাপ হয়। তার পর তাঁরা বেশ খানিকটা সময় পোল্যান্ডে কাটান। সেখানেই প্রথম ‘হাউস সিটার্স’দের ব্যাপারে জানতে পারেন তাঁরা। বিষয়টি বেশ আকর্ষণীয় মনে হওয়ায় তাঁরা চাকরি ছেড়ে এই পেশাকেই বেছে নেন। মূলত ফেসবুকের বিভিন্ন গ্রুপের মাধ্যমেই তাঁরা নতুন নতুন বাড়ির খোঁজ পান। সংসার চালানোর জন্য অ্যামি লেখালিখি করেন। তাঁর স্বামী অনলাইনে শিক্ষকতা করেন। দেশ-বিদেশের যে কোনও প্রান্ত থেকেই তাঁরা নিজেদের কাজ সারতে পারেন।
আপাতত তাঁদের স্থায়ী কোনও বাড়ি নেই। এক দেশ থেকে অন্য দেশেই ঘুরে বেড়ান তাঁরা। মাঝেমধ্যে হোটেলেও থাকতে হয় তাঁদের। দু’জনেই এই পেশাকে বেশ ভালবেসে ফেলেছেন। অ্যামি বলেন, ‘‘এই কাজটি কোনও স্থায়ী জীবিকা নয়। তবে আপাতত আমরা দু'জন এই কাজটি করে বেশ সুখে আছি। অনেক নতুন বন্ধু হয়েছে দেশ-বিদেশে। পোষ্যদের সঙ্গে সময় কাটাতেও বেশ ভাল লাগে।’’