রোটেশনাল ভিউইং এবং নোজ টিপ গেজিং। অলঙ্করণ: শৌভিক দেবনাথ।
রোটেশনাল ভিউইং অ্যান্ড নোজ টিপস গেজিং
এর অর্থ চক্রাকারে চোখ ঘোরানো ও নাকের ডগায় এক দৃষ্টে তাকিয়ে থাকা। চোখের সাহায্যেই মন দ্রুত একাগ্র করা যায়। চোখ ও মস্তিষ্কের এই মেলবন্ধন বজায় রাখতে আমাদের চোখের সুস্থতার প্রতি যত্নশীল হওয়া দরকার। আমাদের বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে জ্ঞান বুদ্ধি বাড়ে। তাই এই সময়ে আমাদের সহানুভূতিশীল অন্তর্দৃষ্টি দিয়ে জগতকে দেখতে শিখতে হবে।
কী ভাবে করব
ব্যায়াম ১
রোটেশনাল ভিউইং
• দুই হাত সাবান দিয়ে ভাল করে ধুয়ে ম্যাটের ওপর পা মুড়ে অথবা পা ছড়িয়ে বসুন। ইচ্ছে হলে চেয়ারেও বসতে পারেন। এ বারে চোখ বন্ধ করে ধীরে ধীরে শ্বাস নিন। এই আসন শুরুর আগে এই ভাবে রিল্যাক্স করা জরুরি।
• এ বারে ডান হাতের বুড়ো আঙুল দুই ভুরুর মাঝ বরাবর সোজা করুন। বুড়ো আঙুলের ডগার দিকে তাকান। এ বার বুড়ো আঙুল ওখান থেকে সরিয়ে ঘড়ির কাঁটার মতো (কনুই সোজা রেখে) ডান হাত ঘোরাতে হবে। প্রথমে ৩টের কাঁটা, এর পর পর্যায়ক্রমে ৬টা, ৯টা ও ১২টার কাঁটার জায়গায় হাতের অবস্থান হবে।
• ঘাড় না ঘুরিয়ে শুধু চোখের দৃষ্টি বুড়ো আঙুলের দিকে রাখুন। এ বারে ঘড়ির কাঁটা অনুযায়ী বুড়ো আঙুলের দিকে দৃষ্টি দিয়ে চোখ ঘোরান। এই অবস্থায় চোখের পাতা পড়লে অসুবিধে নেই।
• এই ভাবে ডান হাতের বুড়ো আঙুলের দিকে প্রথমে ঘড়ির কাঁটার দিকে ও পরবর্তী পর্যায়ে ঘরির কাঁটার বিপরীত দিকে চোখের দৃষ্টি রাখুন ৩–৫ বার।
• একই ভাবে বাম হাতের বুড়ো আঙুল দিয়েও অভ্যাস করতে হবে ৩–৫ বার। আসন করার সময় খেয়াল রাখবেন মাথা ও ঘাড় যেন সোজা থাকে।
• দুই চোখে অভ্যাস করার পর চোখ বন্ধ করে বিশ্রাম নিন। এই সময় পামিং অর্থাৎ দু’হাত ঘষে নিয়ে চোখে চাপা দিলে চোখের আরাম হবে।
ব্যায়াম ২
নোজ টিপ গেজিং
• চেয়ারে বা ম্যাটের ওপর পা মুড়ে বসুন। চোখ বন্ধ করে ধীরে ধীরে শ্বাস প্রশ্বাস নিয়ে রিল্যাক্স করুন। এই আসন শুরুর আগে এই ভাবে নিজেকে প্রস্তুত করে নেওয়া দরকার।
• এ বারে ডান হাত কনুই থেকে ভাঁজ করে বুড়ো আঙুল নাকের ডগায় আনুন। এখানে আঙুল রাখুন কয়েক সেকেন্ড।
• ধীরে ধীরে হাত সোজা করুন নাকের ডগা বরাবর। দুই চোখের দৃষ্টি থাকুক বুড়ো আঙুলের ওপরে। এ ভাবে কয়েক সেকেন্ড তাকিয়ে থাকুন।
• এই হল এক রাউন্ড এই ভাবে ডান হাতে ৫ রাউন্ড ও বাম হাতে ৫ রাউন্ড অভ্যাস করুন।
• এর পর চোখ বন্ধ করে বিশ্রাম নিন। ব্যায়াম অভ্যাসের সময় চোখের চাপ কমার সঙ্গে সঙ্গে পামিং করলে চোখের আরাম হবে।
কেন করব
চোখ আমাদের শরীরের এক অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ইন্দ্রিয়। কিন্তু রোজকার কাজকর্ম করতে গিয়ে অভ্যাসের বশে বেশি দূরে তাকানো কিংবা চোখের সঠিক পরিচর্যা না করায় চোখের পেশীর কার্যকারিতা কমতে শুরু করে। ফলে চোখ ক্লান্ত হয়ে পড়ে, আমাদের মনেও এর প্রভাব পড়ে। এই ব্যায়াম অভ্যাস করলে চোখের পেশীর আড়ষ্ঠতা কমে, দুই চোখের মণির সাযুজ্য ফিরে আসে ও দৃষ্টি শক্তি ভাল থাকে।
(অভূতপূর্ব পরিস্থিতি। স্বভাবতই আপনি নানান ঘটনার সাক্ষী। শেয়ার করুন আমাদের। ঘটনার বিবরণ, ছবি, ভিডিয়ো আমাদের ইমেলে পাঠিয়ে দিন, feedback@abpdigital.in ঠিকানায়। কোন এলাকা, কোন দিন, কোন সময়ের ঘটনা তা জানাতে ভুলবেন না। আপনার নাম এবং ফোন নম্বর অবশ্যই দেবেন। আপনার পাঠানো খবরটি বিবেচিত হলে তা প্রকাশ করা হবে আমাদের ওয়েবসাইটে।)