চেয়ার যোগ— হ্যান্ড ক্লেঞ্চিং বা হাত মুষ্ঠিবদ্ধ করা। অলঙ্করণ: শৌভিক দেবনাথ।
চেয়ার যোগ— হ্যান্ড ক্লেঞ্চিং বা হাত মুষ্ঠিবদ্ধ করা
দাঁড়িয়ে বা মাটিতে বসেও এই আসনটি করা যায়। কিন্তু বয়স্ক মানুষদের বা কাজের মধ্যে উঠে দাঁড়িয়ে আসন করতে অসুবিধা হলে চেয়ারে বসে আসনটি অভ্যাস করা যায়।
হাত মুষ্ঠিবদ্ধ করে এই আসনটি করলে হাতের আঙুলের জোর ও সচলতা বাড়ে, টোনড হয় এবং মুঠো করে ধরতে সুবিধা হয় অর্থাৎ গ্রিপ বাড়ে। বিবিসি-র এক সমীক্ষায় জানা গিয়েছে যে নিয়মিত ঘুষি পাকানোর ব্যায়াম করলে স্মৃতিশক্তি বাড়ে।
কী ভাবে করব
চেয়ারের উপর সোজা হয়ে পা ঝুলিয়ে বসুন। মাথা ও ঘাড় সোজা থাকবে। দুই পা মাটিতে রাখুন। দুই হাত থাকুক কোলের ওপর। এটি আসন শুরুর প্রাথমিক অবস্থান।
আরও পড়ুন: ৬৩তম দিন: আজকের যোগাভ্যাস
দু’ভাবে এই এক্সারসাইজ করতে পারেন। পছন্দ অনুযায়ী বেছে নিন।
• দুই হাত সামনে নিয়ে এসে সোজা করে কাঁধ বরাবর তুলুন। হাতের তালু থাকবে মাটির দিকে মুখ করে।
• পাশাপাশি দুই হাত সোজা করে তুলুন। মনে রাখবেন দুটি ক্ষেত্রেই হাত যেন সোজা থাকে, কনুই থেকে বেঁকে না যায়।
• এ বার ধীরে ধীরে শ্বাস টানতে টানতে দুই হাতের আঙুলগুলি ছড়িয়ে দিন।
• শ্বাস ছাড়তে ছাড়তে দুই হাত একসঙ্গে মুঠো করুন। বৃদ্ধাঙ্গুষ্ঠ যেন ভিতরের দিকে থাকে খেয়াল রাখুন।
• এক রাউন্ড সম্পুর্ণ হল। এই ভাবে সাত বার অভ্যাস করতে হবে।
• হাতের সব ক’টি আঙুলে টানটান ভাব অনুভব করবেন।
• এ বার আসন শুরুর অবস্থানে ফিরে আসুন। চোখ বন্ধ করে কিছু ক্ষণ বিশ্রাম নিন।
আরও পড়ুন: ৬২তম দিন: আজকের যোগাভ্যাস
কেন করব
আমাদের হাত ও আঙুলে অজস্র ছোট বড় অস্থিসন্ধি ও তাদের সংযোগকারী ছোট-বড় পেশী আছে। দৈনন্দিন কাজকর্মে আমাদের হাতের ব্যবহারে এরা সমবেত হয়ে সচল থাকে। খাওয়াদাওয়াই হোক বা কি-বোর্ডে লেখা— যাবতীয় কাজের জন্য হাতের আঙুল ব্যবহার হয়। অথচ হাতের যত্নের ব্যাপারে আমরা যথেষ্ট উদাসীন। এর ফলে বয়স বাড়লে হাতের আঙুলের অস্থিসন্ধিতে আর্থ্রাইটিস সহ নানা ব্যথা-বেদনার ঝুঁকি বাড়ে। নিয়মিত হাত মুঠো করার ব্যায়াম করলে আর্থ্রাইটিস, বয়সজনিত দুর্বলতা, গ্রিপের সমস্যা কমে। নিপুণ দক্ষতার সঙ্গে যাঁরা শিল্পের কাজ করেন, তাঁদের নিপুণতাও বজায় থাকে। সাম্প্রতিক সমীক্ষায় জানা গিয়েছে, হাত মুঠো পাকিয়ে ব্যায়াম করলে মস্তিষ্কের নির্দিষ্ট দু’টি জায়গা উজ্জীবিত হয় ফলে স্মৃতিশক্তি বাড়ে এবং আবেগ নিয়ন্ত্রিত হয়।