চেয়ার যোগ – হাত তোলা। গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ
চেয়ার যোগ – হাত তোলা
জীবিকার প্রয়োজনে অনেককেই দিনের অনেকটা সময় চেয়ারে বসে কাজ করতে হয়। তাঁদের কথা চিন্তা করে কিছু যোগাসন চেয়ারে বসে অভ্যাস করার উপযোগী করে নেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া অনেক বয়স্ক মানুষের পক্ষে গতানুগতিক পদ্ধতিতে মাটিতে বসে আসন করা সম্ভব হয় না। তাঁদের জন্য চেয়ার যোগা যথেষ্ট কার্যকর। হাত তোলার যোগাসনটি অত্যন্ত সহজ সরল অথচ বাড়তি শক্তি যুগিয়ে কাজের উৎসাহ বাড়াতে সাহায্য করে।
কী ভাবে করব
• চেয়ারে পা ঝুলিয়ে সোজা হয়ে বসুন। মেরুদণ্ড টানটান রাখুন, পা মাটিতে ঠেকে থাকবে। ঘাড়, কাঁধ, পিঠ ও নিতম্ব একই সরল রেখায় আরামদায়ক ভাবে থাকবে। ভুলেও যেন চেয়ারে হেলান দেবেন না। এই হল শুরুর অবস্থান।
• এ বারে ধীরে ধীরে শ্বাস নিতে নিতে দুই হাত কানের পাশ দিয়ে মাথার ওপরে তুলুন। দুই হাতের তালু প্রণামের ভঙ্গীতে জড়ো করা থাকবে। একই সঙ্গে মাথা ওপরের দিকে তুলে হাতের দিকে তাকাতে হবে।
আরও পড়ুন: ৫৮তম দিন: আজকের যোগাভ্যাস
• এ বারে ধীরে ধীরে শ্বাস ছাড়তে ছাড়তে দুই হাত চেয়ারে পাশে নামিয়ে আনুন। একই সঙ্গে মাথা সোজা করতে হবে।
• এক রাউন্ড সম্পূর্ণ হল। এই ভাবে ৫–৭ রাউন্ড অভ্যাস করতে হবে।
• অভ্যাস শেষে চোখ বন্ধ করে আরামদায়ক ভাবে বসে ধীরে ধীরে শ্বাস প্রশ্বাস নিন।কাঁধে, ঘাড়ে বা হাতে খুব বেশি ব্যথা থাকলে হাত তোলার এই আসন করবেন না।
আরও পড়ুন: ৫৯তম দিন: আজকের যোগাভ্যাস
কেন করব
এই চেয়ার যোগা হাত তোলা আসন অভ্যাস করলে কাঁধ, ঘাড় ও হাতের সব পেশীর রক্ত সঞ্চালন বেড়ে যায়। বাইসেপস ও ট্রাইসেপসের গঠন সুন্দর হয় এবং কার্যকারিতা বাড়ে। দুই হাত মাথার ওপরে তোলার জন্যে নাভি থেকে বুক পর্যন্ত অংশ খুব ভাল ভাবে প্রসারিত হয়। একই সঙ্গে কোমর থেকে বাহুমূল প্রসারিত হয়ে রক্ত সঞ্চালন বাড়ে বলে হাত, কাঁধ, ঘাড় ও কোমর নমনীয় হয়। ব্যথার কষ্ট চলে যায়। নাগাড়ে বসে কাজ করতে গিয়ে ক্লান্ত লাগলে এই আসন অভ্যাস করলে কাজে উৎসাহ ফিরে আসে। কাজের ফাঁকে এই আসনটি চেয়ারে বসেই অভ্যাস করে নিতে পারেন। আলাদা করে আসন করার সময় পাওয়া না গেলেও কাজ করতে করতে ৩-৪ মিনিট সময় বার করে আসন অভ্যাস করে নিতে পারলে শরীর ও মনের ক্লান্তি কেটে যাবে।