বর্ষায় পোশাক-আশাক থেকেও ছড়াতে পারে সংক্রমণ। ছবি: সংগৃহীত।
বর্ষায় ত্বকের নানা রকম সমস্যায় অনেকেই ভোগেন। স্যাঁতসেঁতে আবহাওয়ায় ত্বক অত্যধিক শুষ্ক হয়ে পড়ে। আর শুষ্ক ত্বকে সংক্রমণের ঝুঁকিও অনেক বেশি। ঝুঁকি এড়াতে অনেকেই নানা সুরক্ষা কবচ নেন। অনেকেরই অজানা, বর্ষায় পোশাক-আশাক থেকেও ছড়াতে পারে সংক্রমণ। অনেকেরই ত্বক স্পর্শকাতর। এমন ত্বক হলে সব ধরনের পোশাক পরা যায় না। কিছু পোশাক রয়েছে, যেগুলি পরলে ত্বকে ফুসকুড়ি, ব্রণ, নানা সমস্যা দেখা দিতে পারে। বর্ষায় কোন ধরনের পোশাক কম ব্যবহার করাই ভাল?
ডেনিম
অফিস থেকে শপিং— ডেনিমের উপর একটা টপ, কিংবা শার্ট পরে নিলেই নিশ্চিন্ত। আলাদা করে কোন পোশাকে সুন্দর লাগবে, তা আর ভাবতে হয় না। তবে বর্ষার কথা আলাদা। এ সময়ে সারা ক্ষণই জল জমে থাকে রাস্তায়। তার উপর যখন-তখন বৃষ্টি তো লেগেই আছে। ডেনিম মোটা কাপড়। এক বার ভিজে গেলে সহজে শুকোতে চায় না। ফলে বেশি ক্ষণ ভেজা কাপড়ের সংস্পর্শে ত্বকে নানা রকম সমস্যা দেখা দিতে পারে।
ভেলভেট
বর্ষায় চারদিক ঠান্ডা ঠান্ডা থাকে। ফলে ভেলভেটের মতো একটু মোটা কাপড় পরলেও অসুবিধা কিংবা অস্বস্তি হয় না। কিন্তু ভেলভেট এক বার ভিজে গেলে মুশকিল। ভেলভেট জল শুষে নেয়। ভেজা পোশাক অনেক ক্ষণ ধরে পরে থাকলে ত্বকে চুলকানি, র্যাশ বেরোতে পারে।
সিল্ক
সিল্ক পরতে অনেকেই ভালবাসেন। অন্য মরসুমে সিল্ক পরলেও বর্ষায় এড়িয়ে চলুন। কারণ, বর্ষায় ঘাম হয় বেশি। সিল্ক হল খুব পাতলা। ফলে জল আর ঘাম মিশে সিল্কের উপর সাদা দাগছোপ পড়তে পারে। সিল্ক আরামদায়ক হলেও অনেক সময়ে এ মরসুমে অস্বস্তির কারণ হয়ে উঠতে পারে। তাই সিল্ক না পরাই ভাল।
চামড়ার পোশাক
লেদার জ্যাকেট কিংবা জুতো পরলে সত্যিই সকলের চেয়ে আলাদা লাগে। তবে বর্ষায় ভিজে গেলে চামড়া দ্রুত নষ্ট হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে। লেদারের পোশাক তৈরির সময়ে নানা রাসায়নিক ব্যবহার করা হয়। চামড়ার পোশাক ভিজে গেলে কোনও ভাবে ত্বকের সংস্পর্শে এসে সমস্যার সৃষ্টি করতে পারে।