Friendship Day Special

বন্ধুত্ব হোক মধুর, বিশেষ এই দিনটিতে বন্ধুর সঙ্গে শহরের কোথায় কী খেতে যাবেন রইল তার হদিস

প্রতি বছর অগস্টের প্রথম রবিবার পালন করা হয় ‘ফ্রেন্ডশিপ ডে’। মন কষাকষির চোটে যতই মুখ দেখাদেখি বন্ধ থাক, সব ভুলে গিয়ে এই দিনটা উদ্‌যাপন করতেই হবে বন্ধুর সঙ্গে।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৫ অগস্ট ২০২৩ ২১:২১
Share:

বন্ধুত্ব উদ্‌যাপন করুন বলরাম মল্লিক এবং রাধারমন মল্লিকের ‘চকোলেট গানাশ’ দিয়ে। ছবি: সংগৃহীত।

‘রামধনু, ঝালমুড়ি, হাফ টিকিট, আব্বুলিশ, বিটনুন আর চুরমুরের গল্প’ ছেড়ে অনেক দিন আগেই নিজেদের পথ বেছে নিয়েছেন। মাঝে জল বহুদূর গড়িয়ে গিয়েছে। কাজের চাপে সামাজিক দূরত্ব বেড়েছে। নিয়মিত যোগাযোগ না থাকলেও টান যে একটুও কমেনি, তা বিশেষ এই দিনটি এলেই বুঝতে পারেন। যদিও বন্ধুত্ব উদ্‌যাপনের আলাদা কোনও দিন হয় না। তবু পোশাকি ‘ফ্রেন্ডশিপ ডে’ পালন করার চল শুরু হয়েছে অনেক কাল আগে থেকেই। উৎসব ইংরেজি মতে হোক বা বাংলা মতে, মিষ্টিমুখ তো করতেই হবে। খাওয়ার পর শেষপাতে যদি মিষ্টি খেতে ইচ্ছে করে, সেই কথা মাথায় রেখেই শহরের কয়েকটি রেস্তরাঁয় থাকছে মিষ্টির বিভিন্ন পদ।

Advertisement

‘প্যাপরিকা গোরমে’ থেকে বন্ধুর জন্যে কিনে ফেলতেই পারেন চেরি মুজ় হার্ট জিলেটো। ছবি: সংগৃহীত।

লাওডন স্ট্রিটের সুরভি বিল্ডিং-এ রয়েছে ‘প্যাপরিকা গোরমে’। মিষ্টিমুখ করে বন্ধুত্ব উদ্‌যাপন করতে চাইলে চলে যেতেই পারেন সেখানে। বন্ধুত্ব উদযাপনের জন্যে সেখানে রয়েছে কেকসিকল্‌স, চেরি মুজ় হার্ট জিলেটো, পাজ়ল জিলেটো এবং স্যান্ডউইচ কুকিজ়। ৬ অগস্ট, সকাল ৯টা থেকে সন্ধে ৭টার মধ্যে যে কোনও সময়ে চলে গেলেই হল। পকেটে যে খুব টান পড়বে, তেমনটাও নয়। সেখানকার খাবারের দাম শুরু হচ্ছে ৬০টাকা থেকে।

বার্মা বার্মা থেকে চেখে দেখতে পারেন ‘চকোলেট বাবল টি’। ছবি: সংগৃহীত।

সপ্তাহান্তে ছুটির দিনে শহরের রাস্তায় খুব একটা যানজট থাকবে না। বন্ধুকে নিয়ে প্রিন্সেপ ঘাটে কিছু ক্ষণ সময় কাটিয়ে সোজা চলে যেতে পারেন পার্ক স্ট্রিটের স্টিফেন কোর্ট এলাকায়। বন্ধুত্বের দিনটি উদ্‌যাপন করতে মিষ্টি খাবারের পশরা সাজিয়ে তৈরি হয়েছে 'বার্মা বার্মা'। বার্মিজ় নানা রকম পদের সঙ্গে এখানে পাওয়া যাবে বিভিন্ন স্বাদের আইসক্রিম। যেমন— পাইন্যাপল এনার্জি, ডার্ক চকোলেট অ্যান্ড অলিভ, অ্যাভোকাডো অ্যান্ড হানি, ক্যারামেলাইজ্‌ড চকোলেট অ্যান্ড চিজ়, হানিকোম্ব অ্যান্ড সুইট কর্ন। সঙ্গে রয়েছে চায়ের বিভিন্ন রকম বিকল্প। চাইলে স্বাদ নিতে পারেন চকোলেট বাবল টি এবং মাচা বাবল টিয়ের। সকালে ১২টা থেকে ৪টে এবং সন্ধেবেলা সাড়ে ৬টা থেকে রাত সাড়ে ১০টা পর্যন্ত খোলা থাকছে এই রেস্তরাঁ।

Advertisement

সদ্য মা হয়েছেন প্রিয় বন্ধু। খুদেকে ছেড়ে এক মুহূর্তের জন্যেও তিনি বাড়ির বাইরে বেরোতে পারবেন না। তাই বলে বন্ধুত্বের উদ্‌যাপন তো বন্ধ থাকবে না! বালিগঞ্জের সানি পার্কে রয়েছে ‘দ্য মিন্ট আনফোল্ড’। সেখান থেকে মিষ্টি খাবারের নানা রকম হ্যাম্পার সাজিয়ে নিজেই চলে যেতে পারেন সেই বন্ধুর বাড়ি। কী কী পাবেন সেখানে? কুকিজ় অ্যান্ড ট্রাফল্‌স হ্যাম্পার, ফর দ্য ন্যাচার লাভার হ্যাম্পার, গ্রানোলা লাভ হ্যাম্পার, গ্রানোলা অ্যান্ড ট্রাফল্‌স হ্যাম্পার, সুইট ট্রিট চকেলেট হ্যাম্পার। দাম শুরু ৩২০ টাকা থেকে। সকাল সাড়ে ১০টা থেকে সন্ধে সাড়ে ৬টার মধ্যে গেলেই হল।

ইংরেজি নতুন বছর উদ‌্‌যাপনে একে অপরকে দেওয়া হত গ্রিটিং কার্ড। তা-ও সে বহু যুগ আগের কথা। নব্বইয়ের দশকের সেই হারিয়ে যাওয়া আনন্দ, বন্ধুত্বের স্মৃতি বাঁধিয়ে রাখতে পারেন ‘লিভিং ফ্রি’-এর তৈরি করা ফ্লোরাল কার্ড, ফ্রেম দিয়ে। সঙ্গে থাকবে পছন্দসই জ্যাম, বিভিন্ন স্বাদের ডিপ, চিজ়, আরও অনেক কিছু। বাজেট ১৮০০ থেকে ২৫০০ টাকার মধ্যে।

‘ফ্রেন্ডশিপ ডে’ উপলক্ষে ‘হার্ড রক ক্যাফে’তে রয়েছে অসাধারণ সব পদ। ছবি: সংগৃহীত।

কলেজে পড়তে পার্ক স্ট্রিট-এর মিউজ়িক ওয়ার্ল্ড-এ বন্ধুর সঙ্গে দেখা করতেন নিয়ম করে। কিন্তু এখন ওই বন্ধুত্বটুকু ছাড়া সবই বিলুপ্ত হয়েছে। বন্ধুত্বের স্মৃতিবিজড়িত সেই রাস্তা নিয়ে নতুন গল্প লেখা হতেই পারে। সঙ্গ দিতে পারে ‘হার্ড রক ক্যাফে’। বন্ধুত্বের দিন উদ্‌যাপন করতে সেখানে গিয়ে চেখে দেখতে পারেন অরিজিনাল লেজেন্ডারি বার্গার, দ্য ডবল ডেকার চিজ় বার্গার, সার্ফ অ্যান্ড টার্ফ বার্গার। সঙ্গে রয়েছে কাসুন্দি ভেটকি ফিশ, স্পাইসি চিকেন ড্রামস্টিক, কর্ন মালাই টিক্কা। চাইলে সুরাপানেরও ব্যবস্থা রয়েছে। খাবার এবং পানীয়ের মোট বিলের উপর ২৫ শতাংশ ছাড় পাওয়া যাবে দিনভর।

বন্ধুর বাড়ি যাবেন। সঙ্গে মিষ্টি নেবেন না, তা কী হয়? ‘বলরাম মল্লিক এবং রাধারমণ মল্লিক’-এর যে কোনও একটি শাখা থেকে বন্ধুর জন্যে কিনে ফেলতে পারেন চকোলেট গানাশ, ব্ল্যাক কারেন্ট সন্দেশ, চকোলাভা ভাঁড় এবং আইসক্রিম সন্দেশ।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement