অন্যান্য অভিনেত্রীর মতো ছিপছিপে শরীর ছিল না রবিনা টন্ডনের। ছবি: সংগৃহীত।
নব্বইয়ের দশকে বড় পর্দায় তাঁকে এক ঝলক দেখার জন্য বার বার টিকিট কেটে সিনেমা হলে ভিড় জমাতেন কত জনে। ‘টিপ টিপ বরসা পানি’ গানের সঙ্গে তাঁর নাচটি বহু পুরুষ হৃদয়ে এখনও দোলা দেয়। সম্প্রতি অভিনয় জীবন নিয়ে একটি সাক্ষাৎকার দেন অভিনেত্রী রবিনা টন্ডন। সেখানে ‘বডি শেমিং’ থেকে বলিউডের পত্রিকার কুৎসা, সব নিয়েই অকপট অভিনেত্রী।
অন্যান্য অভিনেত্রীর মতো ছিপছিপে শরীর ছিল না তাঁর। আর তাই তাঁকে নিয়ে সে আমলের পত্রিকাগুলিতে লেখা হত নানা কটূক্তি। এমনই অভিযোগ অভিনেত্রীর। রবিনা বলেন, ‘‘সেই সময়কার পত্রপত্রিকায় এমন কয়েক জন কাজ করতেন, যাঁরা নিজেরা মহিলা হয়েও অন্য মহিলার শরীর নিয়ে নানা কটূক্তি করতেন। অভিনয় নয়, নায়িকাদের শরীর নিয়েই চর্চা হত বেশি। অভিনেত্রীর বিষয় কটূক্তি করে তাঁদের নীচে নামানোর প্রচেষ্টাতেই সারা ক্ষণ লেগে থাকতেন তাঁরা। আজ তাঁরাই বড় বড় নারীবাদি হয়ে রাস্তায় ঘুরছেন।’’
অভিনেত্রী জানিয়েছেন, তাঁকেও শরীর নিয়ে নানা কটূ কথা শুনতে হয়েছে। রবিনা বলেছেন, ‘‘ষোলো বছর বয়সে আমি বলিউডে কাজ করতে শুরু করি। সেই সময়ে আমার শরীর জুড়ে প্রচুর মাত্রায় বেবি ফ্যাট ছিল। যদিও এখনও সেগুলি ভাল মতোই আছে। তবে এখন আর আমি পরোয়া করি না। আমি যেমন আছি, ভাল আছি।’’
শরীর নিয়ে অকপট রবিনা। ছবি: সংগৃহীত।
মহিলা সাংবাদিকদের নিয়ে আলাদা করে ক্ষোভ প্রকাশ করেন রবিনা। তিনি বলেন, ‘‘তখনকার সংবাদপত্রের মহিলা সম্পাদকরা কমবেশি সকলেই নায়কদের প্রেমে পড়তেন। নায়কের কথাই ছিল তাঁদের কাছে বেদবাক্য। নায়করা নায়িকাদের সম্পর্কে যেমনটা বলতেন, ঠিক তেমনটাই লিখে দিতেন তাঁরা। তা আদৌ কতখানি সত্যি, তা যাচাই না করেই প্রকাশিত হয়ে যেত সংবাদপত্রগুলি। অন্য কোনও দিন আবার অন্য কোনও খবরের একেবারে শেষ লাইনে ভুল সংবাদটি সংশোধন করে লেখা হত, তবে তা খুব বেশি পাঠকদের নজরে পড়ত না। নব্বইয়ের দশকের সাংবাদিকদের এমন আচরণে বড্ড বিরক্ত হতাম। বিয়ের পর অভিনয় থেকে বিরতি নেওয়ার পিছনে কোথাও না কোথাও এই কারণটাও ছিল।’’