সানি শুধু পেশার প্রয়োজনে ফিট থাকেন না। ছবি: সংগৃহীত।
অভিনেত্রী হিসাবে তো বটেই, তবে বলিপাড়ায় সানি লিওনির নামডাক কিন্তু সেখানেই সীমাবদ্ধ নয়। বলিউডে কান পাতলে শোনা যায়, সানি স্বাস্থ্যসচেতনও বটে। পেশাগত কারণেই অভিনেত্রীর শরীরের যত্ন নেওয়াই দস্তুর। কিন্তু সানি শুধু পেশার প্রয়োজনে ফিট থাকেন, তা কিন্তু নয়। ব্যক্তিগত ভাবেও ফিট থাকতে ভালবাসেন তিনি। শরীরচর্চা থেকে ডায়েট— সব কিছুই মন থেকে ভালবেসে করেন তিনি।
ব্যক্তিগত জীবন কিংবা ফিটনেস— নিজের ব্যাপারে সানি বরাবরই অকপট। বিভিন্ন সাক্ষাৎকারে তিনি নিজের ডায়েট এবং ফিটনেস রুটিন নিয়ে কথা বলেছেন। ১৩ মে, শনিবার সানি পা দিলেন ৪২ বছরে। ৪০-এর কোঠা পার করেও কী ভাবে এমন লাস্য ধরে রাখলেন নিজের, তা নিয়ে কৌতূহলের শেষ নেই তাঁর অনুরাগীদের। নিজেকে চিরযৌবনা রাখতে কী করেন সানি? কেমন তাঁর ডায়েট রুটিন?
সকালে খালি পেটে ঈষদুষ্ণ গরম জলে তুলসীর বীজ বা সাবজার সঙ্গে লেবু মিশিয়ে খান তিনি। প্রাতরাশে খুব বেশি আড়ম্বর পছন্দ করেন না। কখনও স্যান্ডউইচ, কখনও টোস্ট খান সানি। সকালে এক কাপ এক্সপ্রেসো না খেলে দিন শুরু হয় না তাঁর।
সানি নিরামিষভোজী। দুপুরের খাবারে বিভিন্ন ধরনের স্যালাড খেতে পছন্দ করেন অভিনেত্রী। এ ছাড়াও শিশুদের জন্য তৈরি কম তেলের মশলাদার খাবার তাঁর ভীষণ প্রিয়। মাঝেমধ্যে পিৎজ়া, পাস্তাও খান তিনি। তবে খাবারের মধ্যে থাকতে হবে বৈচিত্র। বিকেলে খিদে পেলে ফল খান তিনি। তরমুজ, সবেদা, পেয়ারা, আনারসের মতো ফল তাঁর ভীষণ প্রিয়। রুটি তাঁর একেবারেই পছন্দ নয়। রোজের ডায়েটে রুটি থাকে না তাঁর। আটার রুটি খাওয়ার চেয়ে আলুর পরোটা খেতে বেশি পছন্দ করেন সানি।
ব্যক্তিগত জীবন কিংবা ফিটনেস— নিজের ব্যাপারে সানি বরাবরই অকপট। ছবি: সংগৃহীত।
খাওয়াদাওয়াতে লাগাম রাখা না-পসন্দ সানির। তাঁর মতে যা খেতে মন চায়, সবই খাওয়া উচিত। তবে নিয়ন্ত্রণ রাখতে হবে পরিমাণের উপর। আর কেবল ডায়েট নয়, নজর দিতে হবে শরীরচর্চার উপরেও। নিয়ম করে ওয়েট ট্রেনিং ও ভারী শরীরচর্চা করেন তিনি।
গরমের দিনেও সানির খাওয়াদাওয়ায় বিপুল কোনও পরিবর্তন আসে না। কিন্তু পরিমাণ অনেকটা কমিয়ে দেন। সেই সঙ্গে সময় মতো খেয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেন। সেই সঙ্গে প্রচুর পরিমাণে জল খান তিনি। সব সময় তাঁর কাছে একটি বোতল থাকে। ১৫ মিনিট অন্তর জল খান তিনি। শক্ত খাবারের চেয়ে তরল খাবারের প্রতি বেশি ঝোঁক তাঁর। বিশেষ করে গরমের সময় সানি চেষ্টা করেন তরল কোনও খাবার খাওয়ার। ফলের রস, স্যুপের উপরই ভরসা রাখেন গোটা গ্রীষ্মকাল। সানির মতে, গরমে সুস্থ থাকতে এই নিয়ম মেনে চলা ছাড়া উপায় নেই।