বয়স বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে শরীরচর্চায় মন দিয়েছেন পর্দার মুন্নাভাই। ছবি: সংগৃহীত।
শুধু নায়িকারা নয়, বলিপাড়ায় ফিটনেস সচেতন অভিনেতার সংখ্যাও কম নয়। সলমন খান থেকে হৃতিক রোশন, বিদ্যুৎ জামাল থেকে টাইগার শ্রফ— বলিউডের অগ্রজরা ফিটনেসে পাল্লা দেয় অনুজদের। জিমের বাইরে নায়িকাদের মতো নায়কেরা ঘন ঘন ক্যামেরায় ধরা দেন না ঠিকই, কিন্তু শরীরচর্চা খামতি রাখেন না তাঁরা।
কেউ নিয়মিত জিমে যান, কারও আবার পছন্দ পিলাটেস। কারও সকাল-বিকেল সুইমিংপুলে সাঁতার কাটতে ভাল লাগে, কেউ আবার শরীরচর্চার আধুনিক যন্ত্রপাতি কিনে বাড়িতেই তৈরি করেছেন জিমের আবহ। একে অপরকে ফিটনেসে পাল্লা দিতে যে একটা নীরব প্রতিযোগিতা চলে, তা বেশ বোঝা যায়।
এই প্রতিযোগিতা থেকে নিজেকে সম্পূর্ণ সরিয়ে রেখেছেন সঞ্জয় দত্ত। আগামী জুলাই মাসে ৬৪-তে পা দেবেন অভিনেতা। বয়স বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে শরীরচর্চায় মন দিয়েছেন পর্দার মুন্নাভাই। তবে তাঁর ফিট থাকার পথটি খানিক আলাদা।
শুক্রবার দুপুরে ইনস্টাগ্রামের পাতায় একটি ভিডিয়ো পোস্ট করেছেন অভিনেতা। সেই ভিডিয়ো দেখা যাচ্ছে, কুঠার দিয়ে একটি কাঠের গুঁড়ির উপর ক্রমাগত আঘাত করছেন। দু’হাতে কব্জি পর্যন্ত গ্লাভস পরা। একঝলক দেখলে হয়তো কেউ বুঝতেই পারবেন না তিনি কী করছেন। কেন হঠাৎ শুটিং ছেড়ে কাঠ কাটছেন অভিনেতা, তা জানার জন্য পড়তে হবে ভিডিয়োর ক্যাপশনটি। সঞ্জয় লিখেছেন, ‘‘আদিতে ফিরে যাওয়া, অকৃত্রিম শরীরচর্চা। গাছ কাটা হল সবচেয়ে ফলদায়ক শরীরচর্চাগুলির মধ্যে একটি। এতে দেহের উপরের অংশের ব্যায়াম হয়। এক বার এটি করে দেখতে পারবেন। ভাল লাগবে।’’
জিম, সাইক্লিং, ওয়েট ট্রেনিং, সাঁতার, কঠোর ডায়েট নয়, সঞ্জয় ঘাম ঝরাতে ভরসা রাখছেন পুরনো কিছু পদ্ধতির উপর। কাঠ কাটা যথেষ্ট পরিশ্রমসাধ্য কাজ। সারা দিন জিম করেও ততটা ঘাম ঝরে না, যা পনেরো মিনিট কাঠ কাটলে হয়। শরীরের উপরিভাগের ব্যায়াম তো হয়ই, সেই সঙ্গে হাতের জমে থাকা চর্বিও গলে যায়। হাতের পেশি সবল এবং বলিষ্ঠ হয়। ফিট থাকার এমন ব্যতিক্রমী প্রয়াস দেখে প্রশংসা করেছেন অনেকেই।