Yogurt

শরীরকে সুস্থ ও তরতাজা করতে চান? ভরসা রাখুন টক দইয়ে

অনেকেই দুধ খেতে পারেন না। সে ক্ষেত্রে ভরসা রাখতে পারেন দইয়ের উপর। দুধের তুলনায় দই অনেক বেশি সহজপাচ্য। জেনে নিন দইয়ের কোন কোন গুণ আপনাকে সাহায্য করবে শরীরকে তাজা রাখতে।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৫ জানুয়ারি ২০২০ ১৬:৪১
Share:

টক দইয়ের প্রো বায়োটিক উপাদান লিভারকে যেমন সুস্থ রাখে তেমনই এর জেরে কোলেস্টেরলও নিয়ন্ত্রণে থাকে।

ভারতীয় খানাপিনায় সারা বছর ধরেই দইয়ের আধিক্য বেশ ভাল রকম। চটজলদি ব্রেকফাস্ট বানাবেন? টক দই আর সঙ্গে কলা, আপেল, আম কিংবা আপনার পছন্দের যে কোনও ফল মিশিয়ে ঘুরিয়ে ফেলুন মিক্সারে। তৈরি আপনার ‘সুপার হেলদি ব্রেকফাস্ট’! লাঞ্চের জন্য বানাচ্ছেন চিকেন, মাটন বা ফিশ কারি। দু’চামচ টক দই ফেটিয়ে মিশিয়ে ফেলুন কারিতে। বদলে যাবে স্বাদ। ডিনারে রয়েছে রুটি-তরকারি। সঙ্গে থাকে এক বাটি রায়তা। তবে কেবল খাবারের স্বাদ বদলাতেই নয়, দইয়ের স্বাস্থ্যগুণও অনেকখানি।

Advertisement

শীতকাল মানেই খাওয়াদাওয়ায় অনিয়ম, সঙ্গে পার্টি আর পিকনিক তো লেগেই রয়েছে। সব মিলিয়ে শরীরকে বইতে হচ্ছে অনেক অনিয়ম। প্রতি দিনের ডায়েটে রাখুন এক বাটি টক দই। এতেই মিলবে শরীরের নানান সমস্যার সহজ সমাধান।

টক দইয়ের প্রো বায়োটিক উপাদান লিভারকে যেমন সুস্থ রাখে তেমনই এর জেরে কোলেস্টেরলও নিয়ন্ত্রণে থাকে। অনেকেই দুধ খেতে পারেন না। সে ক্ষেত্রে ভরসা রাখতে পারেন দইয়ের উপর। দুধের তুলনায় দই অনেক বেশি সহজপাচ্য। জেনে নিন দইয়ের কোন কোন গুণ আপনাকে সাহায্য করবে শরীরকে তাজা রাখতে।

Advertisement

শরীরকে ডি-টক্সিফাই করতে দইয়ের জবাব নেই।

আরও পড়ুন:শীতে ত্বকের যত্ন নিতে কমলালেবুর খোসার উপকারিতা

আরও পড়ুন:‘স্নায়ু’যুদ্ধ জয়ের উপায়

• শরীরকে ডি-টক্সিফাই করতে দইয়ের জবাব নেই। শরীরের টক্সিন যত সরবে, সুস্থতার পথে ততই এগিয়ে থাকবেন আপনি। ঘরোয়া পদ্ধতিতেই কিছু শরীরচর্চা, পর্যাপ্ত জল ও টক দইয়ের সাহায্যে অতি সহজেই আপনি শরীরকে ডি-টক্সিফাই করতে পারেন।

• তেলমশলাদার খাবার থেকে নিজেকে বিরত রাখতে পারে না? খুব রুটিন মেনে খেলেও একটু আধটু তেল-মশলা মাঝেমধ্যে খাওয়া হয়েই যায়। টক দইয়ের ফারমেন্টেড এনজাইম খাবার হজমের জন্য কার্যকর। বদহজম দূর করতেও সমান ভাবে কাজে আসবে টক দই।

• গুড কোলেস্টেরল (এইচডিএল) বাড়াতে ও খারাপ কোলেস্টেরল (এলডিএল) কমাতে দইয়ের ভূমিকা অসীম। তাই কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে রাখতে ডায়েটে অবশ্যই রাখুন টক দই।

• দইতে থাকা সক্রিয় ‘কালচার’ শরীরে আক্রমণকারী রোগ জীবাণুকে ধ্বংস করতে সহায়ক। তাই শরীরকে রোগমুক্ত করতেও দইয়ের জবাব নেই।

• ব্লাড প্রেসার নিয়ন্ত্রণেও টক দই অত্যন্ত কার্যকর।

• অনেক মহিলাই ভ্যাজাইনাল ইনফেকশনে ভোগেন। তাঁদের ডায়েটে অবশ্যই রাখুন টক দই। দইয়ের মধ্যে থাকা ল্যাকটো ব্যাসিলাস অ্যাসিডোফিলাস ব্যাকটেরিয়া ইনফেকশন রোধে বিশেষ সহায়ক।

• ২৫০ গ্রাম দইয়ে প্রায় ২৫০ মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম থাকে। বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে শরীরে হাড়গুলি দুর্বল হয়ে পড়ে। শুধু তাই নয়, হাড় ভঙ্গুর হতেও শুরু করে। তাই মাঝ বয়েসের পর ডায়েটে অতি অবশ্যই রাখুন টক দই।

• শরীরে মেদ জমছে? টক দই ডায়েটে রাখলে ঝরবে মেদের পরিমাণ।

• রূপচর্চাতেও দই একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। তবে শুধু ফেসপ্যাক বানাতেই দই কাজে লাগে তা নয়, দই খেলে বাড়ে ত্বকের ঔজ্জ্বল্যও।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement