ঘরোয়া টোটকায় চুল হোক কোমল এবং মসৃণ। ছবি: সংগৃহীত।
পুজোর আগে চুল নিয়ে নানা পরীক্ষা-নিরীক্ষা হয়েই থাকে। চুল ছাঁটা, রং করা তো আছেই। সেই সঙ্গে চুল স্ট্রেটনিং, স্মুদনিং করতেও অনেকে ভিড় জমান পার্লারে। পুজোর সাজের সঙ্গে অনেকেই সোজা চুল পছন্দ করেন। কিন্তু পুজো তো চলে এসেছে। এখনও যদি চুল স্ট্রেটনিং কিংবা স্মুদনিং না করিয়ে থাকেন, তা হলে আর পার্লারে গিয়ে লাভ কী? তবে মনখারাপের কিছু নেই। পার্লারের মতো না হলেও বাড়িতেও কিন্তু রুক্ষ চুল মসৃণ এবং কোমল করা যায়। এমনিতেই পার্লারে চুলে যে সব প্রসাধনী ব্যবহার করা হয়, তাতে রাসায়নিক উপাদান থাকে ভরপুর পরিমাণে। এই উপাদানগুলি চুলের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর। পার্লারে না গিয়ে ঘরোয়া পদ্ধতিতে চুল মসৃণ করার উপায়গুলি জেনে নিন।
ডিম ও অলিভ অয়েল
ডিম এবং অলিভ অয়েল, দুই-ই চুলের পুষ্টি জোগায়। দু’টি ডিমের কুসুম ও অলিভ অয়েল ভাল করে ফেটিয়ে নিন। এ বার এই মিশ্রণটি চুলের গোড়ায় ভাল করে লাগিয়ে কিছু ক্ষণ রেখে দিন। শুকিয়ে এলে শ্যাম্পু করে নিন। রুক্ষ চুল মসৃণ ও কোমল করতে এই মিশ্রণটি সপ্তাহে ৩-৪ দিন ব্যবহার করুন।
মধু ও অ্যালো ভেরা
চুলের যত্ন নিতে মধু ও অ্যালো ভেরার জুড়ি মেলা ভার। অ্যালো ভেরা জেলের সঙ্গে মধু মিশিয়ে সেই মিশ্রণটি চুলের গোড়ায় লাগিয়ে ঘণ্টা দুয়েক রেখে দিন। তার পর শ্যাম্পু করে নিন। চুল কোমল ও মসৃণ করতে এক দিন অন্তর এই মিশ্রণটি ব্যবহার করুন।
টক দই খুশকি দূর করতে সাহায্য করে আর পাকা কলা চুল নরম করে। ছবি: সংগৃহীত।
পাকা কলা ও টক দই
টক দই খুশকি দূর করতে সাহায্য করে আর পাকা কলা চুল নরম করে। মিক্সিতে পাকা কলা এবং দু’চামচ টক দই ঘুরিয়ে একটি মিশ্রণ বানিয়ে নিন। এই মিশ্রণটি চুলের গোড়ায় লাগিয়ে ঘণ্টা খানেক রেখে দিন। মিশ্রণটি শুকিয়ে এলে শ্যাম্পু করে নিন। সপ্তাহে ২-৩ দিন এটি ব্যবহার করুন। চুল মসৃণ ও সোজা হবে।