রূপচর্চা মানেই সময়সাপেক্ষ নয়। ছবি:সংগৃহীত।
ঘর এবং বাইরে— একই সঙ্গে দু’দিক সামলাতে গিয়ে ত্বকের হাল ক্রমশ খারাপ হতে থাকে। তার অন্যতম কারণ হল রূপচর্চার জন্য সময়ের অভাব। শরীরের যত্ন নেওয়ার ফুরসত মেলে না অনেক সময়। সেখানে ত্বকের দেখাশোনা তো সহজ নয়। তবে রূপচর্চা মানেই যে সময়সাপেক্ষ তা কিন্তু নয়। ত্বকের যত্ন নিতে হাতে এক মিনিটে সময় থাকলেই ত্বকের জেল্লা ফিরবে। তেমনটাই জানাচ্ছেন রূপচর্চা বিষয়ক পরামর্শদাতারা।
ত্বক অত্যন্ত স্পর্শকাতর। ফলে ত্বকের দেখাশোনা ধীরেসুস্থে, সময় নিয়ে করাই ভাল। কিন্তু রূপচর্চার এই সংজ্ঞা ইদানীং বদলে গিয়েছে। ত্বকের চর্চাও হতে পারে চটজলদি। যত ব্যস্ততাই থাক, রূপচর্চার রুটিনে যেন ছেদ না পড়ে।
ক্লিনজিং, টোনিং এবং ময়শ্চারাইজিং— রূপচর্চার এই তিন ধাপ নিয়ম করে মেনে চলার কথা বলা হয়। কিন্তু সারা দিনের ব্যস্ততায় একটি ধাপও মেনে চলতে পারেন না অনেকে। কেউ আবার হয়তো শুধু ময়শ্চারাইজার ব্যবহার করেন। তবে শুনতে দীর্ঘ পদ্ধতি মনে হলেও, আসলে মিনিট খানেকেই করে নেওয়া সম্ভব। কী ভাবে?
ফেসওয়াশ ব্যবহার করতে সময় লাগার কথা ১০ থেকে ১২ সেকেন্ড। তার পরের ধাপ টোনিং। ফেস ওয়াশ ব্যবহারের পর টোনার ব্যবহার করা জরুরি। টোনার ব্যবহারে সম্ভাব্য সময় লাগে ১৫ সেকেন্ড। এবং শেষে হল ময়শ্চারাইজার। রূপচর্চার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ধাপ। ত্বক আর্দ্রতা হারাতে শুরু করলে জেল্লা কমতে থাকে। তাই ময়শ্চারাইজার ব্যবহার করতে হবে। ক্লিনজিং এবং টোনিং-এর পর এক মিনিটের বাকি যে সময়টা থাকল, তা পুরোটাই কাজে লাগান ময়শ্চারাইজার মাখতে। দিনে এক মিনিট খরচ করলেই ত্বকে আসবে ঔজ্জ্বল্য।