—প্রতীকী ছবি।
বাজারে নানা সংস্থার শ্যাম্পু, তেল, কন্ডিশনারের ছড়াছড়ি। একে একে অনেক কিছু ব্যবহার করা হয়ে গিয়েছে। কিন্তু সমস্যা আর যাচ্ছে কই! সেই চুল পড়া, সেই খুশকি, সেই চুলের ডগা ফাটা, জট— সমস্যা যে কে সেই। এত কিছু ব্যবহার করেও চুলের স্বাস্থ্য ফেরেনি? বরং চুল ঝরার পরিমাণ এতটাই বেড়ে গিয়েছে যে হাওয়ার চুল উড়ে গেলেই মাথার ত্বক দেখা যাচ্ছে। সমাধানে চুলের হাল ধরতে পারে তিন ঘরোয়া সিরাম।
তবে চুলে সিরাম ব্যবহার করা হয় সাধারণত চুলের আর্দ্রতা বজায় রাখতে। চুলের রুক্ষ্ম ভাব দূর করতে। কোঁকড়ানো চুল বশে এনে নানা কায়দা করতেও সাহায্য করে হেয়ার সিরাম। চুলের রুক্ষতা, বিবর্ণ ভাব, ডগা ফাটার মতো সমস্যাও দূর করে। তবে এই সিরাম যে নতুন চুল গজাতেও সাহায্য করে তা হয়তো অনেকেই জানেন না। সাধারণ কিছু ঘরোয়া উপাদানেই বানিয়ে ফেলতে পারেন এই সিরাম।
—প্রতীকী ছবি।
১) ক্যাস্টর অয়েল এবং নারকেল তেল
উপকরণ:
ক্যাস্টর অয়েল: ২ টেবিল চামচ
নারকেল তেল: ২ টেবিল চামচ
রোজ়মেরি এসেনশিয়াল অয়েল: ৫-৭ ফোঁটা
পদ্ধতি:
সব উপকরণ একসঙ্গে মিশিয়ে নিন। স্নানের আধ ঘণ্টা আগে মেখে রেখে দিন এই সিরাম। তেল মাখতে সমস্যা না থাকলে সারা রাত রেখেও দিতে পারেন। পরের দিন হালকা কোনও শ্যাম্পু দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলুন।
২) অ্যালো ভেরা এবং হোহোবা অয়েল
উপকরণ:
অ্যালো ভেরা জেল: ৩ টেবিল চামচ
হোহোবা অয়েল: ১ টেবিল চামচ
ল্যাভেন্ডার এসেনশিয়াল অয়েল: ৫-৭ ফোঁটা
পদ্ধতি:
সব উপকরণ একসঙ্গে মিশিয়ে নিন। স্নানের আধ ঘণ্টা আগে মেখে রেখে দিন এই সিরাম। তার পর হালকা কোনও শ্যাম্পু দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলুন।
৩) পেঁয়াজের রস এবং অলিভ অয়েল
উপকরণ:
পেঁয়াজের রস: ২ টেবিল চামচ
অলিভ অয়েল: ২ টেবিল চামচ
মধু: ১ চা চামচ
পদ্ধতি:
সব উপকরণ মিশিয়ে নিন। স্নানের আধ ঘণ্টা আগে মেখে রেখে দিন এই সিরাম। তেল মাখতে সমস্যা না থাকলে সারা রাত রেখেও দিতে পারেন। পরের দিন হালকা কোনও শ্যাম্পু দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলুন।