উৎসব শেষে বায়ু দূষণের পরিমাণ অনেকটাই বেড়ে গিয়েছে। বাইরে বেরোলে তার আঁচ খানিকটা বেড়ে যাচ্ছে। হঠাৎই যে হাঁচি-কাশির সমস্যার বাড়াবাড়ি শুরু হয়েছে, সেটা শুধু যে ঋতু পরিবর্তনের জন্য, তা কিন্তু নয়। বায়ু দূষণও এর জন্য দায়ী। বায়ু দূষণের প্রভাবে শুধু শরীর নয়, ক্ষতিগ্রস্ত হয় ত্বকও। তাই ত্বকের বাড়তি যত্ন নেওয়া জরুরি। বায় দূষণের কবল থেকে ত্বক সুরক্ষিত রাখবেন কী ভাবে? বাইরে থেকে ফিরে কী ভাবে নেবেন ত্বকের যত্ন?
ক্লিনজিং
ত্বকের ধরন যেমনই হোক, বাইরে থেকে বাড়ি ফিরে ক্লিনজিং করা অত্যন্ত জরুরি। বিশেষ করে দূষণের প্রভাব যাতে ত্বকে না পড়ে, তার জন্য ক্লিনজিং অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ পদ্ধতি। বাইরে থেকে ফিরে তো বটেই, এমনকি কোথাও না বেরোলেও সারা দিনে অন্তত দু’বার ক্লিনজ়ার ব্যবহার করতে পারলে ভাল।
ময়শ্চারাইজ়ার
মরসুমের বদল তো আছেই, সেই সঙ্গে দোসর এই দূষণ। তাই ত্বকের বাড়তি খেয়াল রাখতে হবে। তার জন্য ময়শ্চারাইজ়ার ব্যবহার করা এড়িয়ে গেলে চলবে না। ত্বক ভিতর থেকে কোমল রাখতে ময়শ্চারাইজ়িং গুরুত্বপূর্ণ ধাপ। তা ছাড়া ত্বকের আর্দ্রতা বজায় রাখতেও ময়শ্চারাইজ়ার ব্যবহার করতে হবে।
সানস্ক্রিন
শীতের আমেজ পড়ে গিয়েছে মানেই সানস্ক্রিনের পাট চুকে গেল, তেমন ভাবনা ভুল। বরং শীত আর দূষণময় পরিবেশে সানস্ক্রিন ত্বকের অন্যতম রক্ষাকবচ। সানস্ক্রিন রোদের অতিবেগুনি রশ্মি থেকে ত্বক নিরাপদে রাখে। তা ছাড়া দূষণের প্রভাবও ত্বকে সরাসরি পড়তে দেয় না সানস্ক্রিন।
জীবনযাপনে বদল
ত্বকের খেয়াল রাখার জন্য শুধু প্রসাধনী ব্যবহার করলে চলবে না। জীবনযাপনেও একটা বদল আনতে হবে। বিশেষ করে খাওয়াদাওয়ায়। বাইরের খাবার খাওয়া একেবারেই চলবে না। বেশি করে জল খেতে হবে। ফল খেতে হবে নিয়ম করে। তবেই দূষণের সঙ্গে লড়াই করা সম্ভব হবে।