Aishwarya Rai

বিয়ের স্মৃতিচিহ্ন খুললেও, অনামিকায় এই আংটি সর্ব ক্ষণ পরে থাকেন ঐশ্বর্যা, কেন?

ঐশ্বর্যা অনামিকায় সব সময় পরে থাকেন ‘ভি’ আকৃতির আংটি। কী এমন গুরুত্ব আছে এর?

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৬ জুলাই ২০২৪ ১৮:৪৬
Share:

ঐশ্বর্যার আংটি রহস‍্য। ছবি: সংগৃহীত।

ঐশ্বর্যা রাই বচ্চনকে নিয়ে চর্চার অন্ত নেই। অভিষেক বচ্চনের সঙ্গে তাঁর দাম্পত‍্যের ভাঙাগড়া নিয়ে আলোচনা এখনও অব‍্যাহত। সম্পর্কের জল কোন দিকে গড়াবে, তা অবশ‍্য সময়ই বলতে পারবে। গত বছরের শেষ দিক থেকেই সম্পর্কে ভাঙনের ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছিল। সেই ইঙ্গিত প্রকট হয় যখন ঐশ্বর্যা বিয়ের আংটি খুলে ফেলেন। অভিষেকের পরিয়ে দেওয়া বিয়ের স্মৃতিচিহ্ন মুছে ফেললেও, ঐশ্বর্যের আঙুলে জ্বলজ্বল করছিল ‘ভি’ আকৃতির হিরের আংটি। যে আংটি সব সময় ঐশ্বর্যের আঙুলে শোভা পায়। কেন এই আংটি সব সময় পরে থাকেন অভিনেত্রী? কী এমন গুরুত্ব রয়েছে?

Advertisement

ঐশ্বর্যের আঙুলের এই রত্নটির নাম হল ‘ভ‍্যাঙ্কি আংটি’ বা ‘ভাদুঙ্গিলা’। এই আংটি বিবাহের চিহ্ন। বিবাহিত মহিলারা এই আংটি পরেন। দক্ষিণ ভারতে বিয়ের পর এই আংটি পরার চল সবচেয়ে বেশি। বিয়ের পর মঙ্গলসূত্রের মতো এই আংটি পরিধান করতে হয়। বিয়ের দিন এই আংটি কনের হাতে পরিয়ে দেওয়া হয়। কনের বৌদি অথবা কাকিমা এই আংটি উপহার দেন।

ঐশ্বর্যের অনামিকায় যে ‘ভাদুঙ্গিলা’ দেখতে পাওয়া যায়, সেটি হিরের। তবে এটি সোনারও হয়। দক্ষিণ ভারতের রাজপরিবারের কন‍্যারা প্রথম এই আংটি পরা শুরু করেন। এখনও বিয়ের পর শ্বশুরবাড়ি যাওয়ার সময় এই আংটি পরা থাকে দক্ষিণ ভারতের নববধূদের হাতে।

Advertisement

ম‍্যাঙ্গালুরুর বান্ট সম্প্রদায়ের কাছে এই আংটির আবার অন‍্য গুরুত্ব রয়েছে। দক্ষিণ কর্ণাটকের উপকূলীয় অঞ্চলে ‘বান্ট’ প্রজাতিদের বাস। এই সম্প্রদায়ের মানুষেরা নিজেদের নাগবংশের বংশধর বলে মনে করেন। এই সম্প্রদায় সাপকে নাগদেবতা হিসাবে পুজো করে। এই ভ‍েঙ্কি আংটি নাগ উপাসকেরা সাপের উত্থিত মাথা হিসাবে দেখে। তাঁরা মনে করে, বিয়ের পর নতুন জীবনে সব রকম থেকে অসুবিধা থেকে এই আংটি রক্ষা করবে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement