ঘামেই তরজাতা হবে ত্বক! ছবি: শাটারস্টক।
কারও ঘর্মাক্ত শরীর দেখলে নিজেদের অজান্তেই আমাদের নাক কুঁচকে যায়। বাস-ট্রাম-মেট্রোয় নিত্যযাত্রীরা তো রীতিমতো বিরক্তও হন পাশের মানুষটিকে দরদর করে ঘামতে দেখে। এর সঙ্গে আবার জড়িয়ে রয়েছে দুর্গন্ধের বিষয়টিও। এমনকি, নিজেরা যাতে বেশি না ঘামি, তার জন্যও খুঁজি কত ফিকির। চিকিৎসকের পরামর্শ, অ্যান্টি পার্সপিরেন্ট ডিয়োডোর্যান্ট ব্যবহার করা থেকে শুরু করে ঘরোয়া টোটকায় সমাধান। কিন্তু জানেন কি, শরীর থেকে ঘাম বেরিয়ে যাওয়া বাকি প্রত্যেকটা শারীরিক প্রক্রিয়ার মতোই জরুরি। এমনকি, আপনার ঘামের উপরেও নির্ভর করে আপনার সৌন্দর্য।
ঘামের মাধ্যমে শরীরের অভ্যন্তরীণ নানা ক্ষতিকর পদার্থ বাইরে বেরিয়ে যায়। শরীরের সবচেয়ে বড় অংশ হল ত্বক। ত্বকের ঔজ্জ্বল্য বা়ড়ানোর জন্য পয়সা খরচ করে সাঁলোয় হোক কিংবা বাড়িতে হেঁশেলের সামগ্রী ব্যবহার করে নিয়মিত রূপচর্চা করেন অনেকেই। ক্লিনজিং, টোনিং, ময়েশ্চারাইজিং— ত্বকের সৌন্দর্য বাড়ানোর পিছনে থাকে অনেক ধাপ। এখানেই জড়িয়ে ঘামের সঙ্গে ত্বকের সম্পর্ক।
১) ঘাম নিঃসৃত হয়ে শরীরের তাপমাত্রার সমতা বজায় রাখে। এ ছাড়া, ঘাম বেরোনোর সময়ে রোমকূপগুলি খুলে যায়। ফলে ব্ল্যাকহেড, অ্যাকনে-সহ ত্বকের ভিতরের ময়লা বেরিয়ে যায় সহজে। নির্মল হয়ে ওঠে ত্বক।
২) ঘামের মাধ্যমে ক্ষতিকর দূষিত পদার্থগুলি শরীর থেকে বেরিয়ে যায়। ঘাম কম হলে শরীরে টক্সিনগুলি যদি বেরোতে না পারে সে ক্ষেত্রে মুখে ব্রণ, র্যাশের মতো সমস্যা বাড়ে।
ঘামের মাধ্যমে ক্ষতিকর দূষিত পদার্থগুলি শরীর থেকে বেরিয়ে যায়।
৩) ঘামের সঙ্গে বিভিন্ন খনিজ পদার্থ শরীর থেকে বেরিয়ে আসে। সোডিয়ামের মতো খনিজ ত্বকের প্রাকৃতিক এক্সফোলিয়েটর হিসাবে কাজ করে। ত্বকের রোমকূপে জমা ময়লাগুলি পরিষ্কার হয়, শুষ্ক ত্বকের সমস্যাও দূর হয়।
৪) জিমে গিয়ে ঘাম ঝরানোর পর ত্বক আয়নায় দেখলে লক্ষ করলে দেখা যায়, ত্বকের জেল্লা বেশ বেড়েছে। তাই শুধু ওজন ঝরাতেই নয়, ত্বকের জেল্লা বাড়াতেও বেশি করে ঘাম ঝরাতে হবে। শরীরচর্চা করতে ইচ্ছা না করলে আধ ঘণ্টা মাঝরি গতিতে হাঁটাহাঁটি করলেও বেশ ভাল ঘাম হয়।