কুমড়ো বীজের তেল বানাবেন কী ভাবে, জানুন পদ্ধতি। ছবি: ফ্রিপিক।
মিষ্টি কুমড়ো খেতে যত সুস্বাদু, এর বীজও কিন্তু ততটাই উপকারী। কুমড়ো কাটার সময়ে আমরা সাধারণত বীজ ফেলে দিই। কিন্তু, এই বীজের তেল ত্বক ও চুলের স্বাস্থ্যের জন্য খুবই ভাল। এতে ভরপুর মাত্রায় রয়েছে ভিটামিন ই, সি, জ়িঙ্ক, সেলেনিয়াম, ফ্যাটি অ্যাসিড, যা ত্বককে সতেজ রাখে। অকালবার্ধক্যের ছাপ পড়তে দেয় না। ত্বক চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন, কুমড়ো বীজের তেল বাইরের দেশে পাওয়া গেলেও, এ দেশে সহজলভ্য নয়। কিন্তু চাইলে বাড়িতেই এটি বানিয়ে নেওয়া যেতে পারে। কী ভাবে, তা জেনে নিন।
কুমড়ো বীজের তেল তৈরি করবেন কী ভাবে?
ত্বকের জন্য
কুমড়ো কাটার সময় বীজগুলি বার করে নিন। না ধুয়ে বীজগুলি শুকিয়ে নিতে হবে। কিন্তু ভুলেও রোদে রাখবেন না। বীজ শুকিয়ে গেলে সেগুলির সঙ্গে আরও একটি তেল মেশাতে হবে। অন্য একটি পাত্রে জলপাইয়ের তেল নিয়ে তার মধ্যে বীজগুলি ফেলে দিন। যতটা বীজ হবে, সেই পরিমাণ দেখেই জলপাইয়ের তেল নিতে হবে। এ বার আঁচ কমিয়ে জ্বাল দিতে থাকুন। ঢাকনা দিয়ে ঢেকে কম আঁচে জ্বাল দিতে হবে। তেল ফুটে উঠলে নামিয়ে ছেঁকে নিন।
মুখে মাখবেন কী ভাবে?
ময়শ্চারাইজ়ারের মতো ব্যবহার করা যায় কুমড়ো বীজের তেল। যে কোনও ত্বকের জন্যই এটি উপকারী। মুখে মাখার আগে আধ কাপ কুমড়ো বীজের তেলের সঙ্গে আধ কাপ গোলাপ জল মিশিয়ে নিন। এ বার তাতে গ্লিসারিন মেশান। বিশুদ্ধ গ্লিসারিনই মেশাতে হবে। এই মিশ্রণ শিশিতে ভরে রেখে দিন। রোজ রাতে ঘুমোতে যাওয়ার আগে ত্বকে ভাল করে মেখে নিলে সব দাগছোপ দূর হয়ে যাবে। ত্বকের জেল্লা ফিরবে। ত্বক নরম ও পেলব হবে।
পাকা কলা ও মধুর মিশ্রণে কুমড়ো বীজের তেল যোগ করেও মুখে মাখতে পারেন। এতে রোদে পোড়া দাগ দূর হয়ে যাবে।
চুলের জন্য
চুলের জন্যও একই ভাবে কুমড়ো বীজের তেল বানাতে পারেন। তবে সে ক্ষেত্রে জলপাইয়ের বদলে তিলের তেলে বীজগুলি ফোটাতে হবে। পদ্ধতি একই। এই তেল কাচের জারে দীর্ঘ দিন রেখে দিতে পারেন। রোজ মাথায় মাখলে চুল পড়ার সমস্যা দূর হবে। খুশকির সমস্যাও থাকবে না।
এই প্রতিবেদন সচেতনতার উদ্দেশ্যে লেখা। অনেকেরই ত্বক স্পর্শকাতর। অন্য সমস্যাও থাকতে পারে। তাই কুমড়ো বীজের তেল ব্যবহার করবেন কি না, তা ত্বক চিকিৎসকের থেকে জেনে নেওয়াই ভাল।