নীতার সাজপোশাকে আবারও চমক। ছবি: সংগৃহীত।
রাজকীয় আয়োজনে সম্পূর্ণ হল মুকেশ অম্বানী ও নীতা অম্বানীর কনিষ্ঠ পুত্র অনন্ত অম্বানীর বিয়ের সব অনুষ্ঠান। বিয়েতে অম্বানীদের নতুন বৌমা রাধিকার বিয়ের সাজগোজ নিয়ে যতটা চর্চা হয়েছে, তেমনই চর্চা হয়েছে নীতার সাজ নিয়েও। সাজের দিক থেকে রাধিকাকে সমানে টক্কর দিয়েছেন মুকেশ-পত্নী। বিয়ের সমস্ত অনুষ্ঠানেই সাবেক পোশাকে নজর কেড়েছেন নীতা। সঙ্গীত, মেহন্দি, গায়েহলুদ, বিয়ে, বিদাই—নীতার প্রতি দিনের পোশাকেই ছিল কোনও না কোনও চমক!
অনন্ত-রাধিকার আশীর্বাদের অনুষ্ঠানে নীতার পরনে ছিল গোলাপি রঙের জারদৌসি লেহঙ্গা। সেই সাজের সবচেয়ে বেশি আকর্ষণীয় দিকটি ছিল ব্লাউজ়ের নকশা। বিশেষ অনুষ্ঠান উপলক্ষে নীতার পোশাকটি নকশা করেন পোশাকশিল্পী আবু জানি ও সন্দীপ খোসলা।
ব্লাউজ়ের নকশায় সন্তান ও নাতি-নাতনি ও দেশীয় শিল্পের প্রতি নীতার ভালবাসা ও দেবদেবীর প্রতি ভক্তির ঝলক প্রকাশ পেয়েছে। নীতার লেহঙ্গার থিম ছিল কাশী বিশ্বনাথের মন্দির। লেঙ্গঙ্গার ব্লাউজ়ের পিঠের কাছের নকশা ছিল নজরকাড়া। ব্লাউজ়ে পদ্মফুল, হাতি ও মা লক্ষীর পায়ের ছাপের নকশায় সুতো ও স্টোনের সূক্ষ্ম কারুকাজ। এবং সেই মোটিফটি ঘিরে নীতার সব সন্তান ও নাতি-নাতনিদের নাম লেখা। ব্লাউজ়ের হাতায় আবার সংস্কৃত শ্লোক লেখা।
এই প্রথম নয়, বিয়ের অনুষ্ঠানের সূচনা পর্বেও নীতা একটি লাল বেনারসি পরেছিলেন। সেই শাড়ি জুড়ে গায়ত্রী মন্ত্র লেখা ছিল। বিয়ে উপলক্ষে নীতা যে মেহন্দি পরেছিলেন তাতেও পরিবারের প্রতি তাঁর ভালবাসার ছোঁয়া প্রকাশ পেয়েছে। নীতার এক হাতে ছিল কনিষ্ঠ পুত্র অনন্ত এবং পুত্রবধূ রাধিকার নাম। অন্য হাতে ছিল জ্যেষ্ঠ পুত্র আকাশ এবং পুত্রবধূ শ্লোকার নাম। নাতি-নাতনিরাও যে নীতার বড় আদরের! তাই তাদের নাম লেখাতেও ভোলেননি তিনি। কন্যা ঈশা, জামাই আনন্দ এবং স্বামী মুকেশ অম্বানীর নামও দেখা গিয়েছিল মেহন্দির নকশায়।